Wednesday , November 20 2024

ইমানের কিছু তথ্য

I will try best to talk about something according to my selected topic.

The word faith means that to believe also means to give security, 

ঈমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস স্থাপন করা, নিরাপত্তা প্রদান করা, আনুগত্য করা, স্বীকৃতি দেওয়া।

In terms of the Shari’ah, believing in the Prophet Muhammad (s.) with all that he has brought from God is called faith.

ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক, মহানবী (সঃ) মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যেই শরীয়ত নিয়ে এসেছেন সেটিকে সত্য স্বীকার করে মেনে নেওয়াকে ঈমান বলে।

সহি মুসলিম শরীফ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন), হাদিস নং-১ (যে হাদিসটিকে হাদিসে জিবরাইল বলে) হাদিসের শেষের দিকে বলা হয়েছে,

                                                                                      عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَال

قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنِ الإِيمَانِ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَتُؤْمِنَ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ صَدَقْتَ

উল্লেখিত হাদিসে ঈমানের রোকন বা মুল বিষয় বলা হচ্ছে ৬ টি, 

১। আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা

২। ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান আনা 

৩। আল্লাহর নাযিলকৃত কিতাবের উপর ঈমান আনা 

৪। আল্লাহর রাসুলদের প্রতি ঈমান আনা 

৫। পরকালের প্রতি ঈমান আনা 

৬। তাকদিরের ভালো মন্দের প্রতি ঈমান আনা 

আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা 

আল্লহর প্রতি ইমান আনা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা নিজেই উল্লেখ করেছেন-

সুরা আল ইমরান আয়াত নং ১৯৩

رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آَمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآَمَنَّا

হে আমাদের রব, আমরা এক আহবায়ককে ঈমানের দিকে আহ্বান করতে শুনেছি, ‘তোমরা তোমাদের রবের উপর ঈমান আন’। কাজেই আমরা ঈমান এনেছি।

আল্লাহর কোন বিষয়গুলো আমরা  ঈমান আনবো তা তিনি সুরা ইখলাস এ চমৎকার ভাবে উল্লেখ করেছেন।

সুরা ইখলাস আয়াত ১ থেকে ৪

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ – اللَّهُ الصَّمَدُ – لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ – وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

অর্থ : (হে রাসুল! আপনি) বলুন, তিনিই আল্লাহ, একক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। আর তার সমতুল্য কেউ নেই।’ (সুরা ইখলাস)

রসুলদের প্রতি ঈমান আনা 

রসুলদের প্রতি ইমান আনা সম্পর্কে বলা হয়েছে-

সুরা বাকারা আয়াত নং- ২৮৫

اٰمَنَ الرَّسُوۡلُ بِمَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡهِ مِنۡ رَّبِّهٖ وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ؕ کُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ مَلٰٓئِکَتِهٖ وَ کُتُبِهٖ وَ رُسُلِهٖ ۟ لَا نُفَرِّقُ بَیۡنَ اَحَدٍ مِّنۡ رُّسُلِهٖ ۟ وَ قَالُوۡا سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا

রাসূল তার প্রভুর পক্ষ থেকে যা তার কাছে নাযিল করা হয়েছে তার উপর ঈমান এনেছেন এবং মুমিনগণও। প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তার ফেরেশতাগণ, তার কিতাবসমূহ এবং তার রাসূলগণের উপর। আমরা তাঁর রাসূলগনের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলেঃ আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি।

ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান আনা

সুরা বাকারার ২৮৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে

کُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ مَلٰٓئِکَتِهٖ

 প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তার ফেরেশতাগণ এর উপর

আল্লাহর নাযিলকৃত কিতাবের উপর ঈমান আনা 

আল্লাহর নাযিলকৃত কিতাবের উপর ঈমান আনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সুরা বাকারার ২৮৫ নং আয়াতে

 کُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ مَلٰٓئِکَتِهٖ وَ کُتُبِه

প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তার ফেরেশতাগণ ও তার কিতাবসমূহ এর উপর

পরকালের প্রতি ঈমান আনা 

সুরা আল মুমিনুন আয়াত ১৬

ثُمَّ إِنَّكُمۡ يَوۡمَ الۡقِيَٰمَةِ تُبۡعَثُونَ              

তারপর কিয়ামতের দিন অবশ্যই তোমরা পুনরুত্থিত হবে।

কিয়ামত সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে, সুরা বাকারা-৪৮, সুরা দুখান- ৪০, সুরা নাহল-১১১ 

তাকদিরের ভালো মন্দের প্রতি ঈমান আনা 

সুরা আল ক্বামার আয়াত নং ৪৯

اِنَّا کُلَّ شَیۡءٍ خَلَقۡنٰهُ بِقَدَرٍ

নিশ্চয় আমরা প্ৰত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত তাকদিরে

আবু দাউদ, তাহকিক কৃত (৪৭০০)

আবু হাফসা রাঃ হতে বর্নিত, রাসুল সাঃ বলেছেন,

আল্লাহ তাআলা প্রথম সৃষ্টি করেছেন কলম। সৃষ্টির পর কলমকে বললেন: ‘লিখ’। কলম বলল: ইয়া রব্ব! কী লিখব? তিনি বললেন: কেয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক জিনিসের তাকদীর লিখ।” আলবানি রাহঃ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।

পবিত্র কুরআনে সুরা বাকারা আয়াত ২০৮ আল্লাহ বলেছেন

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا ادۡخُلُوۡا فِی السِّلۡمِ کَآفَّۃً ۪ وَ لَا تَتَّبِعُوۡا خُطُوٰتِ الشَّیۡطٰنِ ؕ اِنَّهٗ لَکُمۡ عَدُوٌّ مُّبِیۡنٌ

হে মুমিনগণ! তোমরা পুর্ণাঙ্গভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শক্ৰ।

আমাদাদের ঈমানদার হতে হলে ঈমানের রোকনগুলোর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। 

আসুন জেনে নেই ঈমান কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়, তার আগে জানতে হবে 

দুর্বল ঈমানের লক্ষণ:

গুনাহ করার পর সে যে অপরাধ করেছে এরকম মনে হবে না।

অন্তর কঠিন হয়ে যাবে ফলে কুরআন তিলাওয়াত করতে ইচ্ছা করবে না।

ইবাদত করার ক্ষেত্রে অলসতা কাজ করবে।

সুন্নত পালনে অবহেলা।

অধিকাংশ সময় মন ও মেজাজ খারাপ এবং মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকবে।

কুরআন তিলাওয়াত কিংবা আল্লাহর কথা শুনার পর কোন অনুভূতি আসবে না। যেমন আখিরাত তথা জাহান্নামের ভয়ের কথা শোনার পর চোখে পানি আসবে না।

আল্লাহর নাম স্মরণ তথা জিকির করাকে কঠিন কাজ বলে মনে হবে।

সবসময় দুনিয়ার অর্থ-সম্পদ আর সম্মানের ইচ্ছা হবে।

নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।

অন্যের ইসলাম পালনকে অবজ্ঞা এবং তিরস্কার করা।

এবার আসুন জেনে নেই কি কাজগুলো করলে ঈমান বৃদ্ধি করা যায় 

১। নিজের গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

সুরা হুদ আয়াত ৩

 وَّ اَنِ اسۡتَغۡفِرُوۡا رَبَّکُمۡ

তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর

২। সময়মত ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে।

কারন সুরা আনকাবুত আয়াত ৪৫

اِنَّ الصَّلٰوۃَ تَنۡهٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ وَ الۡمُنۡکَرِ

নিশ্চয় সালাত বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে।

সালাত সম্পর্কে আরো বলা হয়াছে, শুধু মাত্র সুরা বাকারায়- ০৩, ৪৩, ৪, ১১০, ১৫৩, ২৩৮, ২৭৭ নং আয়াতে এছাড়া আরো অনেক জায়গায় বলা হয়েছে।

৩। নিয়মিত কুরআন তেলওয়াত করা

সুরা তওবা আয়াত ১২৪

وَ اِذَا مَاۤ اُنۡزِلَتۡ سُوۡرَۃٌ فَمِنۡهُمۡ مَّنۡ یَّقُوۡلُ اَیُّکُمۡ زَادَتۡهُ هٰذِهٖۤ اِیۡمَانًا ۚ فَاَمَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا فَزَادَتۡهُمۡ اِیۡمَانًا وَّ هُمۡ یَسۡتَبۡشِرُوۡنَ

আর যখনই কোন সূরা নাযিল হয় তখন তাদের কেউ কেউ বলে, এটা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান বৃদ্ধি করল?(১) অতঃপর যারা মুমিন এটা তাদেরই ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারাই আনন্দিত হয়।

৪। সর্বদা মৃত্যুর কথা স্বরন করা

৫। ইসলামি জ্ঞান অর্জন করা সহ আরো কিছু কারন রয়েছে ঈমান বৃদ্ধি করার জন্য।

আমরা অজু করলে তাকি চিরকাল থাকে? উত্তর হবে না কিছু কারনে ভেঙ্গে যায়।

গোসল করলে তা কি চিরকাল থাকে?  উত্তর হবে না কিছু কারনে ভেঙ্গে যায় 

একইভাবে ঈমান নষ্ট হবার কিছু কারন রয়েছে আসুন কারনগুলো জানার চেষ্টা করি।

ঈমান নষ্ট হবার অনেক কারন রয়েছে তার মধ্যে বিভিন্ন ইসলামের পন্ডিতগন ১০টি কারন উল্লেখ করেছেন 

১। আল্লাহর সাথে শিরিক করলে ঈমান নষ্ট হয়।

সুরা মায়েদা আয়াত ৭২

اِنَّهٗ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰهِ فَقَدۡ حَرَّمَ اللّٰهُ عَلَیۡهِ الۡجَنَّۃَ وَ مَاۡوٰىهُ النَّارُ

নিশ্চয় কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত অবশ্যই হারাম করে দিয়েছেন

শিরক সম্পর্কে আরো উল্লেখ আছে সুরা নেসা-৪৮, ১৭১ নং আয়াত

সুরা লোকমান- ১৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে

 یٰبُنَیَّ لَا تُشۡرِکۡ بِاللّٰهِ ؕؔ اِنَّ الشِّرۡکَ لَظُلۡمٌ عَظِیۡمٌ 

হে আমার প্রিয় বৎস! আল্লাহর সাথে কোন শির্ক করো না। নিশ্চয় শির্ক বড় যুলুম

২। আল্লাহ ও তার বন্দার মধ্যে কাওকে মমধ্যস্থতাকারি বানালে

সুরা ইউনুছ আয়াত ১৮

আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর ইবাদাত করছে যা তাদের ক্ষতিও করতে পারে না, উপকারও করতে পারে না। আর তারা বলে, এগুলো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী। বলুন, তোমরা কি এমন কিছুর সংবাদ দেবে যা তিনি জানেন না?(১) তিনি মহান, পবিত্র এবং তারা যাকে শরীক করে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।

৩। মুশরিক বা কাফিরদের কাফির মনে না করা

৪। নবি (সা.)র ফয়সালার তুলনায় অন্য কারও ফয়সালাকে উত্তম মনে করা

৫। মুহাম্মাদ (সা.) আনীত কোনো বিধানকে অপছন্দ করা

৬। দীনের কোনো বিধান নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা

৭। জাদু করা

৮। মুসলিমদের বিরুদ্ধে মুশরিকদের সমর্থন ও সহযোগিতা করা

সুরা তাওবা, ৯ : ২৩

‘হে মুমিনগণ! তোমাদের পিতা ও ভাইও যদি ঈমানের বিপরীতে কুফরিকে বেছে নেয়, তবে তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা তাদের অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।’ 

৯। কাউকে দীন-শরিয়তের ঊর্ধ্বে মনে করা

১০। দীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া

সুরা সাজদা আয়াত ২২

‘যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলি দ্বারা উপদিষ্ট হয়েও তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার অপেক্ষা অধিক অপরাধী আর কে? আমি অবশ্যই অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে থাকি।’ 

আমাদের অবশ্যই ঈমান বৃদ্ধির চেষ্টা করা উচিত।

                                                  اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ تَوَاصَوۡا بِالۡحَقِّ ۬ۙ وَ تَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ – اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَفِیۡ خُسۡرٍ -وَ الۡعَصۡرِ

সময়ের শপথ, নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মাঝে নিপতিত, কিন্তু তারা নয়, যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে আর পরস্পরকে উপদেশ দিয়েছে হকের এবং উপদেশ দিয়েছে ধৈর্যের।

A perfect believer is a person who fully believes in the things of the Shari’ah and practices them in real life with verbal acknowledgment.

আলোচনা শেষ করার আগে কুরআনের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে শেষ করতে চাই

সুরা বাইয়্যিনাহ আয়াত ৭

 اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ ۙ اُولٰٓئِکَ هُمۡ خَیۡرُ الۡبَرِیَّۃِ

নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তারাই সৃষ্টির শ্ৰেষ্ট

ওয়া আখিরু দাওয়ানা আনিল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।

About Md Nazmul Azam

I am website developer.

Check Also

রাসুল স: এর সুরাত

রাসুল স: এর জীবনীরাসুল স: এর জীবনী দুই ভাগে বিভাক্ত১। সুরাতে রাসুল স:২। সিরাতে রাসুল …

মানব সৃষ্টির সুচনা এবং আদম (আঃ) এর দলিল ভিত্তিক জীবনী

মানব সৃষ্টির সুচনা এবং আদম (আঃ) এর দলিল ভিত্তিক জীবনী জানুন, আপনার অনেক ভুল সংশোধন …

প্রকৃত মুমিনের পরিচয় বা প্রকৃত ঈমানদার কে?

প্রকৃত মুমিন এর পরিচয় জানুন নাজমুল আযম শামীম Download Nulled WordPress ThemesDownload Best WordPress Themes …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *