পবিত্র কুরআনের তাফসীর জানার ক্ষেত্রে আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী ও জালালুদ্দিন মহল্লী (র.) প্রণীত তাফসীরে জালালাইন গ্রন্থটি একটি প্রাথমিক ও পূর্ণাঙ্গ বাহন। রচনাকাল থেকেই সকল ধারার মাদরাসা ও কুরআন গবেষণা কেন্দ্রে এ মূল্যবান তাফসীরটি সমভাবে সমাদৃত। কারণ বাহ্যিক বিচারে এটি অতি সংক্ষিপ্ত তাফসীর হলেও গীর দৃষ্টিতে এটি সকল তাফসীরের সারনির্যাস।
হাজার হাজার পৃষ্ঠা ব্যাপী রচিত কোনো তাফসীর গ্রন্থের অনেক পৃষ্ঠা অধ্যয়ন করে অতি কষ্টে যে তথ্যের খোঁজ পাওয়া যায়, তাফসীরে জালালাইনের আয়াতের ফাঁকে ফাঁকে স্থান পাওয়া এক দুই শব্দেই তা মিলে যায় যেন মহাসমুদ্রকে ক্ষুদ্র পেয়ালায় ভরে দেওয়া হয়েছে। একাধিক সম্ভাবনাময় বাচ্চার মধ্যে সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও প্রাধান্য প্রাপ্ত ব্যাখ্যাটি কোনো প্রকার অনুসন্ধান ছাড়াই অনায়াসে পাওয়া যায়। তাফসীর গ্রন্থসমূহের ব্যাপক অধ্যয়ন করলে এ সত্যটি সহজে অনুধাবন করা যাবে।
ছাত্রজীবন থেকেই তাফসীরে জালালাইনের প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ ছিল। জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগের খ্যাতিমান উত্তাদ, মুহাক্কিক আলেম মাওলানা আহমদ মায়মূন সাহেবের উৎসাহ-উদ্দীপনায় জালালাইনের সর্ববৃহৎ আরবী শরাহ আল্লামা সুলাইমান জামাল প্রণীত ‘হাশিয়াতুল জামাল’ মুতালার সুযোগ হয়েছিল। একটু আধটু যাই বুঝেছিলাম তাতে এ অনুভূতি হয়েছিল যে, উর্দু কামালাইন আর আরবি হাশিয়াতুল জামাল কিছুতেই একটি অপরটির বিকল্প হতে পারে না। দুটি ভিন্ন ভিন্ন বস্তু।