Friday , December 27 2024

তাহফিমুল কুরআন

তাহফিমুল কুরআন (কুরআনের তাফসীর), আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। কেমন আছেন সবাই?  আশা করি সবাই ভালো আছেন, লেখার শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন আমি কি বিষয়ে লেখতে ছেয়েছি।

আল্লাহ তায়া’লা প্রদত্ত পবিত্র আল কুরআনের তাফসীর নিয়ে আজ এই লিখা। কুরআনের তাফসীর হলো কুরাআনের ব্যখ্যা। অর্থাৎ এই গ্রন্থে পবিত্র কুরআন শরীফের ব্যখ্যা দেওয়া হয়েছে, যাতে কুরআন সহজে বোধগম্য হয়।

 

এই তাফসীর গ্রন্ত্রের  বৈশিষ্ট্য
 
এই তাফসীরের যে বৈশিষ্ট্যের দরুন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী, তা এ কিতাব খানা না পড়া পর্যন্ত বুঝে আসতে পারে না । মধুর স্বাদ তা খেয়েই বুঝতে হয়,  অপরের কথায় মধুর স্বাদ ও মিষ্ঠতা সঠিকভাবে জানা সম্ভব হতে পারেনা। রাসুল (সাঃ) এর নবুয়াতের ২৩ বছর কালেমা তাইয়্যেবার দাওয়াত থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সব ক্ষেত্রেই ইকামাতে দ্বীনের যে মহান দায়িত্ব পালন করেছেন, রাসূল (সা) -এর নেতৃত্বে পরিচালিত ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন অবস্থায় ও পরিবেশে আল্লাহ পাক প্রয়োজন মতো যখন যে ওহী পাঠিয়েছেন তা-ই গোটা কুরআনে ছড়িয়ে আছে । তাই কুরআনকে আসল রূপে বুঝতে হলে রাসূল (সা)-এর ২৩ বছরের সংগ্রামী জীবনের সাথে মিলিয়ে বুঝবার চেষ্টা করতে হবে । তাফসীর গ্রন্থ তাফহীমুল কুরআন এ কাজটিই করেছে । এখানেই এর বৈশিষ্ট্য।
 
কুরআন বুঝার আসল মজা
 
রাসূল (সাঃ) -এর দাওয়াতী কাজ পরিচালনা করার জন্যই কুরআন এসেছে। তাই কোন সূরাটি কোন যুগে এবং কি পরিবেশে নাযিল হয়েছে তা উল্লেখ করে বুঝানো হয়েছে যে ঐ পরিস্থিতিতে নাযিলকৃত সূরায় কী হেদায়াত দেয়া হয়েছে ।
 
 
অন্য তাফসীর এ রকম নয় কেন ?
 
যে কারো মনে এ প্রশ্ন জাগতে পারে যে তাফসীর গ্রন্থ তাফহীমুল কুরআনে আন্দোলনমুখী যে তাফসীর পাওয়া যায় তা অতীতের বিখ্যাত তাফসীরগুলোতে নেই কেন ? তারা কি আল কুনআন ঠিকমতো বুঝেননি? এ প্রশ্নের জওয়াব সুস্পষ্ট করা দরকার ।
১৪শ বছর আগে আল্লাহর রাসূল (সা) কুরআনের ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্র এমনভাবে গড়ে তুলেছিলেন যে প্রায় ১২শ বছর বিশ্বে মুসলমানদেরই নেতৃত্ব ছিল। খোলাফায়ে রাশেদার ৩০ বছর ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা শতকরা ১০০ ভাগই চালু ছিল । এরপর খেলাফতের স্থলে রাজতন্ত্র চালু হলেও শিক্ষাব্যবস্থা ,আইনব্যবস্থা ,অর্থব্যবস্থা ইসলাম অনুযায়ী চলতে থাকে । ইসলামী শাসনব্যবস্থায় ক্রমে ক্রমে ত্রুটি দেখা দেবার ফলে ১২শ বছর পর শাসনক্ষমতা অমুসলিমদের হাতে চলে যায় ।
 
যে ১২শ বছর মুসলিম শাসন ছিল তখন যেসব তাফসীর লেখা হয়েছে , মুসলিম সমাজে কুরআনের শিক্ষা ব্যাপক করাই উদ্দেশ্য ছিল । ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম থাকার কারণে কুরআনকে আন্দোলনের কিতাব হিসাবে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন তখন ছিল না ।
 
যখন ইংরেজ শাসন এ উপমহাদেশে ইসলামকে জীবনের সকল ক্ষেত্র থেকে উৎখাত করে কুরআনের বিপরীত শিক্ষা ,সভ্যতা ও সংস্কৃতি চালু করল তখন নতুন করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের আন্দোলন জরুরী হয়ে পরে । শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলবী (রঃ) থেকেই এ চিন্তার সূচনা হয় ।  ১৮৩১ সালে বালাকোটের যুদ্ধে নেতৃবৃন্দ শহীদ হলেও ইসলামকে বিজয়ী করার চিন্তাধারা বিলুপ্ত হয়ে যায়নি।
 
মাওলানা মওদূদী (রঃ) ঐ চিন্তাধারার স্বার্থক ধারক হওয়ার সাথে সাথে নিজেই ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করার ফলে আন্দোলনের দৃষ্টিতে কুরআনকে বুঝার গুরুত্ব উপলব্ধি করছেন । তাই তাঁর তাফসীর স্বাভাবিকভাবেই আন্দোলনমুখী হয়েছে উঠেছে।
যাহোক আমাদের উচিত কুরআন পড়ে বুঝা এবং সেই অনুযায়ী আমল করা।
নিম্মে তাফসীর তাহফিমুল কুরআন এর ১৯ খন্ড এক পিডিএফ ফাইলে দেওয়া হলো, যদিও ফাইলটি ১৬০ এমবি এর চেয়ে একটু বেশি তারপরও আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে একসাথে দিলাম। ভিন্ন ভিন্ন দিলে আপনাদের সংরক্ষণ করতে কষ্ঠ হতো।
তাই ইসলাম শিক্ষার উদ্দেশ্যে বইটি ডাউনলোড করে রাখুন এবং সময় পেলে পড়ুন আর দুনিয়া ও আখিরাতের আসল উদ্দেশ্য হাসিল করুন, আমিন।
 

তাহফিমুল কুরআন ডাউনলোড ১-১৯ খন্ড

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *