সুরা বাকারার ২৮৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে
کُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ مَلٰٓئِکَتِهٖ
প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর, তার ফেরেশতাগণ এর উপর
১। আমরা প্রসিদ্ধ চার জন ফেরেশতার নাম সবাই জানি, এদের মধ্যে আমরা যাকে আজরাইল বলি তার নাম আসলে আজরাইল কিনা? আমাদের সমাজে ‘আজরাইল’ নামটি কিভাবে প্রচলিত হল-
আজরাইল (عزرائيل/Azrael) শব্দটি আরবি বরং ইবরানি (হিব্রু/Hebrew) ভাষা থেকে এসেছে। জান কবজের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতাকে ইবরানি (হিব্রু) ভাষায় ‘আজরাইল/Azrael’ বলা হয়। বিভিন্ন ইসরাইলি বর্ণনায় এ শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়।
ইসলামি লেখকদের মধ্যে ফখরুদ্দিন রাযী, ইমাম বাগাভী প্রমুখ কতিপয় তাফসির কারক তাদের তাফসির গ্রন্থে এ নামটি ব্যবহার করেছেন। এ কারণে এ নামটি আমাদের সমাজে বিভিন্ন বক্তা, ইসলামি লেখক এবং সর্ব সাধারণের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছে।
কিন্তু কুরআন-হাদিসে এই নামটির অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। কুরআনে তাকে বলা হয়েছে মালাকুল মউত (মৃত্যু দূত)। যেমন: আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلْ يَتَوَفَّاكُم مَّلَكُ الْمَوْتِ الَّذِي وُكِّلَ بِكُمْ ثُمَّ إِلَىٰ رَبِّكُمْ تُرْجَعُونَ
“বলুন, তোমাদের প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ‘মালাকুল মওত’ তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।” [সূরা সজদা: ১১]
উল্লেখ্য যে, মালাকুল মউত বা মৃত্যু দূত একটি বৈশিষ্টগত নাম কিন্তু প্রকৃত নাম আল্লাহ ভালো জানেন।
শাইখ আলবানি বলেন,
“আর তার নাম ‘আজরাইল’-যেমনটি লোকসমাজে প্রচলিত-এর কোনও ভিত্তি নাই। বরং এটি ইসরাইলি বর্ণনার অন্তর্ভুক্ত।”
আল্লাহু আলাম।
২ ও ৩। জিবরাঈল ও মিকাঈলের আঃ সম্পর্কে সুরা বাকারার ৯৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে।
مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِلَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَالَ فَإِنَّ اللَّهَ عَدُوٌّ لِلْكَافِرِينَ
যে কেউ আল্লাহ, তার ফেরেশতা, রাসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু, সে জেনে রাখুক আল্লাহ নিশ্চয় সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের শত্রু
৪। ইসরাফিল [আ.]: এই ফেরেস্তা কিয়ামত বা বিশ্বপ্রলয় ঘোষণা করবেন। তার কথা কুরআন শরীফে বলা না হলেও
হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই ০৪ জন প্রসিদ্ধ ফেরেশতা ছাড়াও অনেক ফেরেশতার নাম পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন
হারুত (আঃ), মারুত (আঃ) সহ প্রমুখ
লেখক
নাজমুল আযম