সুরা আন নাবা
শ্রেণীঃ মাক্কী সূরা
নামের অর্থঃ মহাসংবাদ
সূরার ক্রমঃ ৭৮
আয়াতের সংখ্যা; ৪০
পারার ক্রমঃ ৩০
রুকুর সংখ্যাঃ নেই
সিজদাহ্র সংখ্যাঃ নেই
← পূর্ববর্তী সূরা সূরা আল-মুরসালাত
পরবর্তী সূরা → সূরা আন-নাযিয়াত
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহিম
Previous | Surah An Naba | next
عَمَّ يَتَسَاءَلُونَ (١)
1. আম্মা ইয়াতাসা য়ালূন।
তারা পরস্পরে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে?
عَنِ النَّبَإِ الْعَظِيمِ (٢)
2. আনিন্নাবায়িল আজীমি।
মহা সংবাদ সম্পর্কে,
الَّذِي هُمْ فِيهِ مُخْتَلِفُونَ (٣)
3. ল্লাযী হুম ফীহি মুখতালিফূন।
যে সম্পর্কে তারা মতানৈক্য করে।
كَلا سَيَعْلَمُونَ (٤)
4. কাল্লা সাইয়া’লামূন।
না, সত্ত্বরই তারা জানতে পারবে,
ثُمَّ كَلا سَيَعْلَمُونَ (٥)
5. ছুম্মা কাল্লা সাইয়া’লামূন।
অতঃপর না, সত্বর তারা জানতে পারবে।
أَلَمْ نَجْعَلِ الأرْضَ مِهَادًا (٦)
6. আলাম নাজ্ব আলিল আরদ্বোয়া মিহা-দাঁও।
আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা
وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا (٧)
7. অল জ্বিবা-লা আওতা-দাঁও।
এবং পর্বতমালাকে পেরেক?
وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا (٨)
8. অখলাক্ব না-কুম আযওয়া-জাঁও।
আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি,
وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا (٩)
9. অ জ্বা’আলনা নাওমাকুম সুবা-তাঁও।
তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী,
وَجَعَلْنَا اللَّيْلَ لِبَاسًا (١٠)
10. অজবা’আলনাল লাইলা লিবা-সাঁও
রাত্রিকে করেছি আবরণ।
وَجَعَلْنَا النَّهَارَ مَعَاشًا (١١)
11. অ জ্বা আলনান নাহা-র মা’আ-শা
দিনকে করেছি জীবিকা অর্জনের সময়,
وَبَنَيْنَا فَوْقَكُمْ سَبْعًا شِدَادًا (١٢)
12. অবানাইনা-ফাওক্বকুম সাবআন শিদা-দাঁও।
নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ।
وَجَعَلْنَا سِرَاجًا وَهَّاجًا (١٣)
13. অ জ্বা’আলনা সিরা-জ্বাঁও অহহা-জ্বাঁও
এবং একটি উজ্জ্বল প্রদীপ সৃষ্টি করেছি।
وَأَنْزَلْنَا مِنَ الْمُعْصِرَاتِ مَاءً ثَجَّاجًا (١٤)
14. অআনযালনা মিনাল মু’ছির-তি মা য়ান ছাজ্জ্বা-জ্বাল
আমি জলধর মেঘমালা থেকে প্রচুর বৃষ্টিপাত করি,
لِنُخْرِجَ بِهِ حَبًّا وَنَبَاتًا (١٥)
15. লিনুখরিজ্বা বিহী হা্ববাঁও অনাবা-তাঁও
যাতে তদ্দ্বারা উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ।
وَجَنَّاتٍ أَلْفَافًا (١٦)
16. অজ্বান্না-তিন আলফা-ফা।
ও পাতাঘন উদ্যান।
إِنَّ يَوْمَ الْفَصْلِ كَانَ مِيقَاتًا (١٧)
17. ইন্না ইয়ামমাল ফাছলি কা-না মীক্ব-তাঁই।
নিশ্চয় বিচার দিবস নির্ধারিত রয়েছে।
يَوْمَ يُنْفَخُ فِي الصُّورِ فَتَأْتُونَ أَفْوَاجًا (١٨)
18. ইয়াওমা ইয়ুনফাখু ফিছ ছুরি ফাতা’তূনা আফওয়া-জ্বাঁও।
যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে সমাগত হবে।
وَفُتِحَتِ السَّمَاءُ فَكَانَتْ أَبْوَابًا (١٩)
19. অ ফুতিহাতিস সামা য়ু ফাকা নাত আবওয়া-বাঁও।
আকাশ বিদীর্ণ হয়ে; তাতে বহু দরজা সৃষ্টি হবে।
وَسُيِّرَتِ الْجِبَالُ فَكَانَتْ سَرَابًا (٢٠)
20. অসুইয়িরতিল জ্বিবা-লু ফাকা-নাত সার-বা-।
এবং পর্বতমালা চালিত হয়ে মরীচিকা হয়ে যাবে।
إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا (٢١)
21. ইন্না জ্বাহান্নামা কা-নাত মিরছোয়া দাল।
নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে,
لِلطَّاغِينَ مَآبًا (٢٢)
22. লিত্ত্বোয়া-গীনা মাআ-বাল।
সীমালংঘনকারীদের আশ্রয়স্থলরূপে।
لابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا (٢٣)
23. লা-বিছীনা ফীহা–আহক্ব-বা।
তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে।
لا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلا شَرَابًا (٢٤)
24. লা-ইয়াযূক্বূ না ফীহা- বারদাঁও অলা শার-বান।
তথায় তারা কোন শীতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না;
إِلا حَمِيمًا وَغَسَّاقًا (٢٥)
25. ইল্লা হামীমাঁও অগসাসা-ক্বন।
কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পূঁজ পাবে।
جَزَاءً وِفَاقًا (٢٦)
26. জ্বাযা – য়াঁও ওয়িফা-ক্ব
পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে।
إِنَّهُمْ كَانُوا لا يَرْجُونَ حِسَابًا (٢٧)
27. ইন্নাহুম কা-নূ লা-ইয়ারজু না হিসা-বাঁও।
নিশ্চয় তারা হিসাব-নিকাশ আশা করত না।
وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا كِذَّابًا (٢٨)
28. অকায্যাবূ বিআ-ইয়া
এবং আমার আয়াতসমূহে পুরোপুরি মিথ্যারোপ করত।
وَكُلَّ شَيْءٍ أَحْصَيْنَاهُ كِتَابًا (٢٩)
29. অ কুল্লা শাইয়িন আজছোয়াইনা-হু কিতা-বান।
আমি সবকিছুই লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষিত করেছি।
فَذُوقُوا فَلَنْ نَزِيدَكُمْ إِلا عَذَابًا (٣٠)
30. ফাযূক্বূ ফালান নাযীদা কুম ইল্লা আযা-বা-
অতএব, তোমরা আস্বাদন কর, আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করব।
إِنَّ لِلْمُتَّقِينَ مَفَازًا (٣١)
31. ইন্না লিলমুত্তাক্বীনা মাফা-যা-
পরহেযগারদের জন্যে রয়েছে সাফল্য।
حَدَائِقَ وَأَعْنَابًا (٣٢)
32. হাদা- য়িকা অআ’না-বাঁও।
উদ্যান, আঙ্গুর,
وَكَوَاعِبَ أَتْرَابًا (٣٣)
33. অ কাওয়া- ইবা আতরবাঁও।
সমবয়স্কা, পূর্ণযৌবনা তরুণী।
وَكَأْسًا دِهَاقًا (٣٤)
34. অকা’সান দ্বিহা-ক্ব-
এবং পূর্ণ পানপাত্র।
لا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلا كِذَّابًا (٣٥)
35. লা-ইয়াসমা’উনা ফীহা লাগওয়াঁও অলা-কিযযা-বা-।
তারা তথায় অসার ও মিথ্যা বাক্য শুনবে না।
جَزَاءً مِنْ رَبِّكَ عَطَاءً حِسَابًا (٣٦)
36. জ্বাযা– য়াম মির রব্বিকা আত্বোয়া–য়ান হিসা-বার।
এটা আপনার পালনকর্তার তরফ থেকে যথোচিত দান,
رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالأرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الرَّحْمَنِ لا يَمْلِكُونَ مِنْهُ خِطَابًا (٣٧)
37. রব্বিস সামা-ওয়া-তি অল আরদ্বি অমা-বাইনাহুমার রহমা-নি লা-ইয়ামলিকূনা মিনহু খিত্বোয়া-বা-
যিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা, দয়াময়, কেউ তাঁর সাথে কথার অধিকারী হবে না।
يَوْمَ يَقُومُ الرُّوحُ وَالْمَلائِكَةُ صَفًّا لا يَتَكَلَّمُونَ إِلا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَقَالَ صَوَابًا (٣٨)
38. ইয়ামা ইয়াক্বূমুর রূহু অলমালা-য়িকাতু ছোয়াফ্ফাল লা-ইয়াতাকাললামূনা ইল্লা-মান আযিনা লাহুর রহমান-নু অক্ব-লা ছওয়া-বা-
যেদিন রূহ ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে।
ذَلِكَ الْيَوْمُ الْحَقُّ فَمَنْ شَاءَ اتَّخَذَ إِلَى رَبِّهِ مَآبًا (٣٩)
39. যা-লিকাল ইয়াওমুল হাক্ব ক্বু ফামান শা-য়াত তাখাযা ইলা রব্বিহী মায়া বা।
এই দিবস সত্য। অতঃপর যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরী করুক।
إِنَّا أَنْذَرْنَاكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنْظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنْتُ تُرَابًا (٤٠)
40. ইন্না আনযারনা-কুম আযা-বান ক্বারীবাঁই
আমি তোমাদেরকে আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম, যেদিন মানুষ প্রত্যক্ষ করবে যা সে সামনে প্রেরণ করেছে এবং কাফের বলবেঃ হায়, আফসোস-আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।