সুরা আল লাইল
শ্রেণীঃ মাক্কী সূরা
নামের অর্থঃ রাত্রি
সূরার ক্রমঃ ৯২
আয়াতের সংখ্যাঃ ২১
পারার ক্রমঃ ৩০ পারা
রুকুর সংখ্যাঃ ১
সিজদাহ্র সংখ্যাঃ নেই
শব্দের সংখ্যাঃ ৭১
অক্ষরের সংখ্যাঃ ৩২০
← পূর্ববর্তী সূরা সূরা আশ-শাম্স
পরবর্তী সূরা → সূরা আদ-দুহা
নামকরণ :
সূরার প্রথম শব্দ ওয়াল লাইল ( আরবী ) – কে এই সূরার নাম গণ্য করা হয়েছে।
নাযিলের সময় – কাল
পূর্ববর্তী সূরা আশ শামসের সাথে এই সূরাটির বিষয়বস্তুর গভীর মিল দেখা যায়। এদিক দিয়ে এদের একটিকে অপরটির ব্যাখ্যা বলে মনে হয়। একই কথাকে সূরা আশ শামসে একভাবে বলা হয়েছে আবার সেটিকে এই সূরার অন্যভাবে বলা হয়েছে। এথেকে আন্দাজ করা যায় , এ দু’টি সূরা প্রায় একই যুগে নাযিল হয়।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহিম
وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى (١)
1. অল্লাইলি ইযা-ইয়াগশা-।
শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে,
وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى (٢)
2. অন্নাহা-রি ইযা-তাজ্বাল্লা-।
শপথ দিনের, যখন সে আলোকিত হয়
وَمَا خَلَقَ الذَّكَرَ وَالأنْثَى (٣)
3. অমা-খলাক্বায যাকার অলউনসা-।
এবং তাঁর, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন,
إِنَّ سَعْيَكُمْ لَشَتَّى (٤)
4. ইন্না সা’ইয়াকুম লাশাত্তা-।
নিশ্চয় তোমাদের কর্ম প্রচেষ্টা বিভিন্ন ধরনের।
فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى (٥)
5. ফাআম্মা মান আ’ত্বোয়া-অত্তাক্ব-।
অতএব, যে দান করে এবং খোদাভীরু হয়,
وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى (٦)
6. অছোয়াদ্দাক্বা বিল হুসনা-।
এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে,
فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى (٧)
7. ফাসানুইয়াসসিরুহূ লিলইয়ুসর-।
আমি তাকে সুখের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব।
وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى (٨)
8. অআম্মা-মাম বাখিলা অসতাগনা-।
আর যে কৃপণতা করে ও বেপরওয়া হয়
وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى (٩)
9. অ কাযযাবা বিলহুসনা-।
এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে,
فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى (١٠)
10. ফাসানুইয়াসসিরুহূ লিল ‘উসরা।
আমি তাকে কষ্টের বিষয়ের জন্যে সহজ পথ দান করব।
وَمَا يُغْنِي عَنْهُ مَالُهُ إِذَا تَرَدَّى (١١)
11. অমা-ইয়ুগনী আনহু মা-লুহূ– ইযা-তারাদ্দা-।
যখন সে অধঃপতিত হবে, তখন তার সম্পদ তার কোনই কাজে আসবে না।
إِنَّ عَلَيْنَا لَلْهُدَى (١٢)
12. ইন্না ‘আলাইনা- লালহুদা-।
আমার দায়িত্ব পথ প্রদর্শন করা।
وَإِنَّ لَنَا لَلآخِرَةَ وَالأولَى (١٣)
13. অইন্না লানা- লালআ-খিরতা অল ঊলা-।
আর আমি মালিক ইহকালের ও পরকালের।
فَأَنْذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظَّى (١٤)
14. ফাআনযারতুকুম না-রান তালাজজোয়া-।
অতএব, আমি তোমাদেরকে প্রজ্বলিত অগ্নি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছি।
لا يَصْلاهَا إِلا الأشْقَى (١٥)
15. লা-ইয়াছলা-হা– ইল্লাল আশক্ব।
এতে নিতান্ত হতভাগ্য ব্যক্তিই প্রবেশ করবে,
الَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّى (١٦)
16. ল্লাযী কাযযাবা অতাওয়াল্লা-।
যে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
وَسَيُجَنَّبُهَا الأتْقَى (١٧)
17. অসাইয়ুজ্বান্নাবুহাল আতক্ব।
এ থেকে দূরে রাখা হবে খোদাভীরু ব্যক্তিকে,
الَّذِي يُؤْتِي مَالَهُ يَتَزَكَّى (١٨)
18. ল্লাযী ইয়ু’তী মা-লাহূ ইয়াতাযাক্কা-।
যে আত্নশুদ্ধির জন্যে তার ধন-সম্পদ দান করে।
وَمَا لأحَدٍ عِنْدَهُ مِنْ نِعْمَةٍ تُجْزَى (١٩)
19. অমা-লিআহাদিন ইনদাহূ মিন নি’মাতিন তুজ্বযা–।
এবং তার উপর কারও কোন প্রতিদানযোগ্য অনুগ্রহ থাকে না।
إِلا ابْتِغَاءَ وَجْهِ رَبِّهِ الأعْلَى (٢٠)
20. ইল্লাবতিগা–য়া অজ্ব হি রব্বিহিল ‘আলা-।
তার মহান পালনকর্তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ ব্যতীত।
وَلَسَوْفَ يَرْضَى (٢١)
21. অলাসাওফা ইয়ারদ্বোয়া-।
সে সত্বরই সন্তুষ্টি লাভ করবে।