রিয়াদুস সালেহীন বই প্রতিটি মুসলিমের পড়া উচিত, এটি এমন একটি বই যা পড়লে আপনী কুরআন হাদিসের আলোকে জীবন গড়তে পারবেন। বইটির ডাউনলোড লিংক নিচে রয়েছে।
সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ইসলামে হাদিস বলা হয় সেই জ্ঞানকে যার সাহায্যে রাসুল্লাহ (সঃ) এর কথা, কাজ সম্পর্কে অগ্রগতি লাভ করা যায়। যে কাজ তার সামনে সম্পাদন করা হয়েছে, তিনি তা নিষেধ করেননি, এমন কাজও হাদিসের অন্তর্ভুক্ত।
হাদিস শাস্ত্র দুই ভাগে বিভক্ত।
১। ইলমে রওয়ায়েতুল হাদিস,
২। ইলমে দেবায়াতুল হাদিস।
কুরআন মজীদের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য সাহাবায়ে কিরাম যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করেছেন হাদিসের ক্ষেত্রেও অনেক মুহাদ্দিস তাই করেছেন।
ইমাম নববী (রহ) এই গ্রন্থের বিষয়ভিত্তিক বিন্যাস সাধনে যে পরিশ্রম ও আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা ভূলার নয়।
তিনি ফিকাহর দৃষ্টিতে হাদিস এর বিন্যাস করেছেন এবং প্রতিটি অধ্যায়ের শুরুতে কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করেছেন, এভাবে হাদিসের এই সংকলনকে তিনি সর্বতোভাবে সুন্দর করে তুলেছেন, এর ফলে হাদিসের এই গ্রন্থটি বিপুলভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে।
ইতিপূর্বে এই গ্রন্থটি অনুদিত হলেও কিছু যঈফ হাদিস থাকায় শাইখ নাসিরুদ্দিন আল আলবানি কতৃক তাহক্বীক কৃত গ্রন্থটির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তাওহীদ পাবলিকেশন্স এই বইটি প্রকাশ করেছে।
রিয়াযুস স্বা-লিহীন গ্রন্থের বিশেষ বৈশিষ্ট্যাবলীঃ
১. ভালো ফন্টে আরবী ইবারতের পাশাপাশি বাংলা সরল অনুবাদ।
২. প্রতিটি হাদিসকে ৯টি হাদীসগ্রন্থ (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক, মুসনাদ আহমাদ ও দারেমী )এর আলোকে তাখরীজ করা হয়।
৩. প্রতিটি হাদিসের শেষে ৯টি গ্রন্থের যে নাম্বার গুলো দেয়া হয়েছে তাতে পাঠক ও গাবেষকবৃন্দ একই বিষয়ের উপর ৯ টি গ্রন্থের কোথায় কতটি হাদিস আছে তা সহজেই জানতে পারবেন। মূল হাদিসের সাথে সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক মিল থাকা হাদিস গুলোর নাম্বার উল্লেখ করেছি। কোন হাদিসগ্রন্থে এক বিষয়ের একাধিক হাদিস থাকলে তার অধিকাংশ পুনরাবৃত্তি নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।
৪. গ্রন্থে উল্লেখিত বুখারি ও মুসলিমের হাদিস ব্যাতীত প্রতিটি হাদিস শাইখ নাসিরুদ্দিন আল আলবানীর তাহক্বীক কৃত।
৫. এ গ্রন্থে শাইখ নাসিরুদ্দিন আলবানীর তাহক্বীকৃত হাদিস যেগুলো যঈফ সেগুলোর চারিদিকে সিঙ্গেল বর্ডার দিয়ে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, আর নোটের মাধ্যমে প্রতিটি যঈফ হাদিসের দুর্বল রাবী চিহ্নিত করে এ হাদিস সম্পর্কে মুহাদ্দিস আলবানির পর্যালোচনা উল্লেখ করা হয়েছে।
৬. যে হাদিস গুলোতে আল্লামা আলবানি (রহ) তার পূর্বের মত থাকে ফিরে অন্য মত প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ প্রথমে যঈফ না বললেও সর্বশেষ তাহক্বীক অনুযায়ী যঈফ বলেছেন সে হাদিস গুলো হচ্ছেঃ ৪৮৮, ১৩৯৩, ১৭২০ নং হাদিস, আর তিনি প্রথম তাহক্বীকে যঈফ মন্তব্য করলেও তারপরে তিনি সহীহ আখ্যা দিয়েছেন আমন একটি হাদিস হচ্ছে ১৫০০ নং হাদিস।
৭. প্রতিটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখের বাণীগুলো বোল্ড অক্ষরে প্রকাশ করা হয়েছে।
৮. হাদিসের নম্বরের ক্ষেত্রে বুখারীর নম্বর ফাতহুল বারীর নম্বর এর সঙ্গে, মুসলিম ও ইবনু মাজাহ ফুয়াদ আব্দুল বাকীর নম্বরের সঙ্গে, তিরমিযীর নম্বর আহমেদ শাকেরের নম্বরের সঙ্গে, আবু দাউদ মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন আব্দুল হামিদের নম্বরের সঙ্গে, মুসনাদ আহমাদ এহইয়াউত তুরাস আল ইসলামীর নম্বরের সঙ্গে, মুয়াত্তা মালিক তার নিজস্ব নম্বরের সঙ্গে, নাসাঈর নম্বর আবু গুদ্দার নম্বরের সঙ্গে মিল রেখে করা হয়েছে।
৯. প্রতিটি হাদিসে পরিচ্ছেদের বিষয়ের সঙ্গে হাদিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশটুকু অনুবাদে বোল্ড বা মোটা অক্ষরে দেখানো হয়েছে।
১০. মাঝে মাঝে হাদিসের অনুবাদের শেষে অনুবাদক কতৃক ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।
১১. বাংলা সূচী পাশাপাশি আরবী সূচীও উল্লেখ করা হয়েছে।
১২. যঈফ হাদিসগুলোর একটি আলাদা তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে।
তাই এই বইটি পড়ে নিজের জীবনকে আগিরাতের জন্য প্রস্তুত করা প্রতিটি মুসলিমের ইমানি দ্বায়িত্ব। আসুন নিচ থেকে বইটি ডাউনলোড করে আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটারে সংরক্ষন করি এবং একটু সময় হলে বইটি পড়ে জীবন গড়ি।
One comment
Pingback: জাল হাদিস ISLAMIC RESEARCH CENTER ONLINE