সূরা ক্বারিয়াহ
শ্রেণীঃ মক্কী
সূরার ক্রমঃ ১০১
আয়াতের সংখ্যাঃ ১১
পারার ক্রমঃ ৩০ (আমপারা)
শব্দের সংখ্যাঃ ৩৬
অক্ষরের সংখ্যাঃ ১৫৮
← পূর্ববর্তী সূরা সূরা আল-আদিয়াত
পরবর্তী সূরা → সূরা তাকাসুর
শানে নুযূল
এ সূরায় আমলের ওজন ও তার হালকা এবং ভারী হওয়ার প্রেক্ষিতে জাহান্নাম অথবা জান্নাত লাভের বিষয় আলোচিত হয়েছে। আমলের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা সূরা আ’রাফের শুরুতে করা হয়েছে। সেখানে লিখিত হয়েছে যে, বিভিন্ন হাদীস আয়তের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে জানা যায়, আমলের ওজন সম্ভবতঃ দুবার হবে। প্রথমতঃ ওজন করে মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হবে। মুমিনের পাল্লা ভারী ও কাফেরর পাল্লা হালকা হবে। এরপর মুমিনদের মধ্যে সৎকর্ম ও অসৎকর্মের পার্থক্য বিধানের জন্যে হবে দ্বিতীয় দফা ওজন করা হবে। এ সূরায় বাহ্যতঃ প্রথম ওজন বোঝানো হয়েছে, যাতে প্রত্যেক মুমিনের পাল্লা ঈমানের অভাবে হালকা হবে, সে যদিও কিছু সৎকর্ম করে থাকে। যার আমল আন্তরিকতাপূর্ণ ও সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সংখ্যায় কম হলেও তার আমলের ওজন বেশি হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সংখ্যায় তো নামায, রোযা, সদকা-যাক্বাত, হজ্জ অনেক করে, কিন্তু আন্তরিকতা ও সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্য কম, তার আমলের ওজন কম হবে।
ٱلْقَارِعَةُ
مَا ٱلْقَارِعَةُ
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا ٱلْقَارِعَةُ
يَوْمَ يَكُونُ ٱلنَّاسُ كَٱلْفَرَاشِ ٱلْمَبْثُوثِ
وَتَكُونُ ٱلْجِبَالُ كَٱلْعِهْنِ ٱلْمَنفُوشِ
فَأَمَّا مَن ثَقُلَتْ مَوَٰزِينُهُۥ
فَهُوَ فِى عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ
وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَٰزِينُهُۥ
فَأُمُّهُۥ هَاوِيَةٌ
وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا هِيَهْ
نَارٌ حَامِيَةٌۢ
উচ্চারণঃ আল কা-রি‘আহ । মাল কা-রি‘আহ। ওয়ামাআদরা-কা মাল কা-রি‘আহ। ইয়াওমা ইয়াকূনুন্না-ছুকাল ফারা-শিল মাবছূছ। ওয়া তাকূনুল জিবা-লুকাল‘ইহনিল মানফূশ। ফাআম্মা-মান ছাকুলাত মাওয়া-ঝীনুহূ। ফাহুওয়া ফী ‘ঈশাতির রা-দিয়াহ। ওয়া আম্মা-মান খাফফাত মাওয়াঝীনুহূ ফাউম্মুহূহা-বিইয়াহ।ওয়ামাআদরা-কা মা-হিয়াহ। না-রুন হা-মিয়াহ।
অর্থঃ করাঘাতকারী, করাঘাতকারী কি? করাঘাতকারী সম্পর্কে আপনি কি জানেন ? যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতংগের মত এবং পর্বতমালা হবে ধুনিত রঙ্গীন পশমের মত। অতএব যার পাল্লা ভারী হবে, সে সুখীজীবন যাপন করবে। আর যার পাল্লা হালকা হবে, তার ঠিকানা হবে হাবিয়া। আপনি জানেন তা কি? প্রজ্জ্বলিত অগ্নি!