সূরা আল-হাদীদ
শ্রেণীঃ মাদানী সূরা
নামেরঃ অর্থ লোহা
সূরার ক্রমঃ ৫৭
আয়াতের সংখ্যাঃ ২৯
পারার ক্রমঃ ২৭
রুকুর সংখ্যাঃ ৪
সিজদাহ্র সংখ্যাঃ নেই
শব্দের সংখ্যাঃ ৫৭৫
অক্ষরের সংখ্যাঃ ২৪৭৫
← পূর্ববর্তী সূরা সূরা আল-ওয়াকিয়াহ
পরবর্তী সূরা → সূরা আল-মুজাদালাহ
নামকরণঃ
এই সূরাটির ২৫ নং আয়াতের وَأَنْزَلْنَا الْحَدِيدَ বাক্যাংশের الْحَدِيدَ অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে حديد (‘হাদীদ’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা
নাযিল হওয়ার সময়-কালঃ
সর্ব সম্মাত মতে এটি মদীনায় অবতীর্ণ সূরা। এ সূরার বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলে মনে হয় সম্ভবত উহুদ যুদ্ধ ও হুদায়বিয়ার সন্ধির মধ্যবর্তী কোন এক সময় এ সূরা নাযিল হয়েছে। এটা সে সময়ের কথা যখন কাফেররা চারদিক থেকে ক্ষুদ্র এ ইসলামী রাষ্ট্রটিকে তাদের আক্রমণের লক্ষস্থল বানিয়েছিল এবং ঈমানদারদের ক্ষুদ্র একটি দল অত্যন্ত সহায় সম্বলহীন অবস্থায় সমগ্র আরবের শক্তির মোকাবিলা করে যাচ্ছিলেন। এ পরিস্থিতিতে ইসলাম তার অনুসারীদের কাছে শুধু জীবনের কুরবানীই চাচ্ছিলো না বরং সম্পদের কুরবানীর প্রয়োজনীয়তাও একান্তভাবে উপলব্ধি করেছিলো। এ ধরনের কুরবানী পেশ করার জন্য এ সূরায় অত্যন্ত জোরালো আবেদন জানানো হয়েছে। সূরার ১০ আয়াত এ অনুমানকে আরো জোরালো করছে। এ আয়াতে আল্লাহ তা’আলা ঈমানদারদের দলকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যারা বিজয়ের পরে নিজেদের অর্থ সম্পদ খরচ করবে এবং আল্লাহর পথে লড়াই করবে তারা কখনো ঐ সব লোকদের সমমর্যাদা সম্পন্ন হতে পারবে না যারা বিজয় লাভেরপূর্বের জান ও মালের কুরবানী পেশ করবে। ইবনে মারদুইয়া কর্তৃক উদ্ধৃত হযরত আনাস (রা) বর্ণিত হাদীস একথাই সমর্থন করে। তিনি ————- আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসংগে বলেনঃ কুরআন নাযিলের শুরু থেকে ১৭বছর পর ঈমানদারের আলোড়নকারী এ আয়াতটি নাযিল হয়। এ হিসেব অনুসারে এর নাযিল হওয়ার সময় ৪র্থ ও পঞ্চম হিজরী সনের মধ্যবর্তী সময়ই এ সূরার নাযিল হওয়র সময়-কাল বলে নির্ধারিত হয়।
বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্ঃ
এ সূরার আলোচ্য বিষয় হচ্ছে আল্লাহর পথে অর্থ-সম্পদ ব্যয় করার উপদেশ দান। যখন আরব জাহেলিয়াতের সাথে ইসলামের সিদ্ধান্তের সংগ্রাম চলছিলো, ইসলামের ইতিহাসের সে সংকটকালে মুসলমানদেরকে বিশেষভাবে আর্থিক কুরবানীর জন্য প্রস্তুত করা এবং ঈমান যে শুধু মৌখিক স্বীকৃতি ও বাহ্যিক কিছু কাজকর্মের নাম নয় বরং আল্লাহ ও তার রসূলের জন্য একনিষ্ঠ হওয়াই তার মূল চেতনা ও প্রেরণা, একথা তাদের মনে বদ্ধমূল করে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ সূরা নাযিল করা হয়েছিল। যে ব্যক্তির মধ্যে এ চেতনা ও প্রেরণা অনুপস্থিত এবং আল্লাহ ও তার দীনের মোকাবিলায় নিজের প্রাণ, সম্পদ ও স্বার্থকে অধিকতর ভালবাসে তার ঈমানের দাবী অন্তসর শুন্য। আল্লাহর কাছে এ ধরনের ঈমানের কোন মূল্য ও মর্যাদা নেই।
এ উদ্দেশ্যে সর্ব প্রথম আল্লাহ তা’আলার গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে যাতে শ্রোতারা ভালভাবে উপলবদ্ধি করতে পারে যে, কোন মহান সত্তার পক্ষ থেকে তাঁকে সম্বোধন করা হচ্ছে। তারপর নিম্নের বিষয়গুলো ধারাবাহিকভাব পেশ করা হয়েছে।
ঈমানের অনিবার্য দাবী হচ্ছে, ব্যক্তি যেন আল্লাহর পথে অর্থ -সম্পদ ব্যয় করতে গড়িমসি ও টালবাহানা না করে। এ ধরনের কাজ শুধু ঈমানের পরিপন্থীই নয়, বাস্তবতার বিচারেও ভুল। কেননা, এসব অর্থ -সম্পদ মূলত আল্লাহ তা’আলারই অর্থ -সম্পদ। তোমাদেরকে খলিফা হিসেবে তা ব্যবহার করার ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে। এ অর্থ-সম্পদই কাল অন্যদের হাতে ছিল, আজ তোমাদের হাতে আছে এবং ভবিষ্যতে অন্য কারো হাতে চলে যাবে। শেষমেশ তা বিশ্ব-জাহানের প্রতিটি জিনিসের মালিক আল্লাহর কাছেই থেকে যাবে। এ সম্পদের কোন অংশ তোমাদের কাজে লাগলে কেবল সেই অংশই লাগতে পারে যা তোমাদের অধিকারে থাকা কালে তোমরা আল্লাহর কাজে ব্যয় করবে।
আল্লাহর পথে জান ও মালের কুরবানী পেশ করা যদিও সর্বাবস্থায়ই সম্মানজনক কাজ। কিন্তু এসব ত্যাগ ও কুরবানীর মূল্য ও মর্যাদা অবস্থার নাজুকতা দিয়ে নিরূপিত হয়। এমন সময় আসে যখন যে, কুফরী শক্তি অত্যন্ত প্রবল হয়ে ওঠে এবং সর্বক্ষণ এমন একটা আশংকা বিদ্যমান থাকে যে, কুফরীর সাথে সংঘাতে ইসলাম হয়তো পরাভূত হয়ে পড়বে। আবার এমন একটা সময়ও আসে যখন কুফর ও ইসলামের দ্বন্দে শক্তির ভারসাম্য ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং ন্যায় ও সত্যের দুশমনের মোকিবেলায় ঈমানের অনুসারীরা বিজয়লাভ করতে থাকে। গুরুত্বের দিক দিয়ে এ দুটি পরিস্থিতি সমান নয়। তাই এ ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে যে ত্যাগ ও কুরবানী পেশ করা হয় মূল্যের দিক দিয়ে তাও সমান নয়। ইসলাম যখন দুর্বল তখন তাকে সমুন্নত ও বিজয়ী করার জন্য যারা প্রাণপণ চেষ্টা সাধনা ও অর্থ সম্পদ অকাতরে ব্যয় করবে তারা তাদের সমসর্যাদা লাভ করতে পারবে না।
ন্যায় ও সত্যের পথে যতটা সম্পদ ব্যয় করা হবে আল্লাহর কাছে তা ঋণ হিসেবে গণ্য হবে। আর আল্লাহ ঐ সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে ফেরত দেবেন শুধু তাই নয় নিজের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুরস্কারও দান করবেন।
আখেরাত সেসব ঈমানদার কেবল নূর লাভ করবে যারা আল্লাহর পথে তাদের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করেছে। মুনাফিকরা যারা দুনিয়াতে নিজেদের স্বার্থই কেবল রক্ষা করেছে এবং ন্যায় ও সত্য বিজয়ী হচ্ছে, না বাতিল বিজয়ী হচ্ছে তার কোন পরোয়াই করেনি। দুনিয়ার এ জীবনে তারা ঈমানদারদের ঈমানদারদের সাথেই মিলে মিশে থাকলেও আখেরাতে তাদেরকে ঈমানদারদের থেকে আলাদা করে দেয়া হবে। তারা ‘নূর’ থেকে বঞ্চিত হবে এবং কাফেরদের সাথে তাদের হাশর হবে।
যেসব আহলে কিতাবের গোটা জীবন দুনিয়া পূজায় অতিবাহিত হয়েছে এবং যাদের মন দীর্ঘদিনের গাফলতি ও অমনোযোগিতার কারণে, পাথরের ন্যায় কঠোর হয়ে গিয়েছে মুসলমানদের তাদের মত হয়ে যাওয়া ঠিক নয়। সে কেমন ঈমানদার আল্লাহর কথা শুনে যার হৃদয়ের বিগলিত হয় না এবং তাঁর নাযিলকৃত সত্য বিধানের সামনে মাথা নত করে না।
কেবল সেই সব ঈমানদারই আল্লাহর নিকট ‘সিদ্দিক’ ও শহীদ বলে গণ্য যারা কোন রকম প্রদর্শনীর মনোভাব ছাড়াই একান্ত আন্তরিকতা ও সততার সাথে নিজেদের অর্থ-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে।
দুনিয়ার জীবন মাত্র কয়েক দিনের চাকচিক্য এবং ধোয়ার উপকরণ। এখানকার খেল তামাসা, এখানকার আনন্দ ও আকর্ষণ এখানকার সৌন্দর্য ও সাজ-সজ্জা, এখাকার শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে গর্ব ও অহংকার এবং এখাকার ধন সম্পদ ও ঐশ্বর্যের ব্যপারে একে অপরকে অতিক্রম করার চেষ্টা সাধনা সব কিছুই অস্থায়ী। এর উপমা দেয়া যায় সেই শস্য ক্ষেত্রের সাথে যা প্রথম পর্যায়ে সবুজ ও সতেজ হয়ে ওঠে। তারপর বিবর্ণ হয়ে তামাটে বর্ণ ধারণ করে এবংসর্বশেষ ভূষিতে পরিণত হয়। প্রকৃতপক্ষে আখেরাতের জীবন হচ্ছে স্থায়ী জীবন যেখানে সব কাজের বড় বড় ফলাফল পাওয়া যাবে। তোমাদের যদি প্রতিযোগিতামূলকভাবে কিছু করতে হয় তাহলে জান্নাতের দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার জন্য চেষ্টা করো। পৃথিবীতে আরাম -আয়েশ ও বিপদ আপদ যাই আসে তা আল্লাহ তা’আলার পর্ব লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারেই আসে। একজন ঈমানদারের ভূমিকা হওয়া উচিত বিপদ আপদ আসলে সাহস না হারানো এবং আরাম আয়েশ ও সুখ-শান্তি আসলে গর্ব প্রকাশ না করা । একজন মুনাফিক বা কাফেরের আচরণ হচ্ছে আল্লাহ যদি তাকে নিয়ামত দান করেন তাহলে সে গর্বে মেতে উঠে, অহংকার প্রকাশ করতে থাকে এবং নিয়ামত দাতা আল্লাহর কাজে ব্যায় করতে নিজেও সংকীর্ণতার পরিচয় দেয় এবং অন্যদেরকেও কার্পণ্য করতে পরামর্শ দেয়।
আল্লাহ সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ, কিতাব এবং ন্যায় বিচারের ভারসাম্যপূর্ণ মানদণ্ড সহকারে তাঁর রসূল পাঠিয়েছেন, যাতে মানুষ ইনসাফের ওপর প্রতিষ্ঠিত হতে পারে আর তার সাথে লোহাও নাযিল করছেন যাতে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা এবং বাতিলের মাথা অবনত করার জন্য শক্তি ব্যবহার করা যায়। এভাবে এভাবে আল্লাহ দেখতে চান মানুষের মধ্যে এমন লোক কারা যারা তাঁর দীনের সহায়তা ও সাহায্যের জন্য প্রস্তুত হয় এবং সেজন্য প্রাণপণে চেষ্টা করে। তোমাদের নিজেদের উন্নতি ও মর্যাদার জন্য আল্লাহ এই সুযোগসমূহ সৃষ্টি করেছেন। অন্যথায় আল্লাহ তাঁর কাজের জন্য কারো মুখাপেক্ষী নন।
আল্লাহর পক্ষ থেকে ইতিপূর্বেও একের পর এক নবী রসূলগণ এসেছেন। তাদের আহবানে কিছু লোক সঠিক পথে ফিরে এসেছে। কিন্তু অধিকাংশ লোকই পাপাচারী রয়ে গিয়েছে। তারপর ঈসা আলাইহিস সালাম এসেছেন। তাঁর শিক্ষায় মানুষের মধ্যে বহু নৈতিক গুণাবলী সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তাঁর ‘উম্মাত’ বৈরাগ্যবাদের বিদআত অবলম্বন করে।
এখন আল্লাহ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে পাঠিয়েছেন। যারা তাঁর প্রতি ঈমান আনবে এবং আল্লাহকে ভয় করে জীবন যাপন করবে আল্লাহ তাদেরকে তাঁর রহমতের দ্বিগুণ অংশ দেবেন এবং তাদেরকে এমন ‘নূর’ দান করবেন যার সাহায্যে তারা দুনিয়ার জীবনে পদে পদে বাঁকা পথসমূহের মধ্যে সোজা পথটি ষ্পষ্ট দেখে চলতে পারবে। আহলে কিতাব নিজেদেরকেও যদিও আল্লাহর রহমতের ঠিকাদার মনে করে থাকে। কিন্তু আল্লাহর রহমত তাঁর নিজেরই হাত আছে। যাকে ইচ্ছা তাকে এই রহমত ও অনুগ্রহ দান করার ইখতিয়ার তার আছে। এ হচ্ছে এ সূরায় সুবিন্যস্ত ও ধারাবাহিকভাবে বর্ণিত বিষয়বস্তুর সার সংক্ষেপ।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ57.1 আরবি উচ্চারণ ৫৭.১। সাব্বাহা-লিল্লা-হি মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি অহুওয়াল্ ‘আযীযুল্ হাকীম্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.১ আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করে। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ57.2 আরবি উচ্চারণ ৫৭.২। লাহু মুল্কুস্ সামা- ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি ইয়ুহ্য়ী অ ইয়ুমীতু অ হুওয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন্ ক্বর্দী। বাংলা অনুবাদ ৫৭.২ আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব তাঁরই। তিনিই জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর সর্বশক্তিমান। هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ57.3 আরবি উচ্চারণ ৫৭.৩। হুওয়াল্ আউয়্যালু অল্ আ-খিরু অজ্জোয়া-হিরু অল্বা-ত্বিনু অহুওয়া বিকুল্লি শাইয়িন্ ‘আলীম্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.৩ তিনিই প্রথম ও শেষ এবং প্রকাশ্য ও গোপন; আর তিনি সকল বিষয়ে সম্যক অবগত। هُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْضِ يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمَا يَعْرُجُ فِيهَا وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ57.4 আরবি উচ্চারণ ৫৭.৪। হুওয়া ল্লাযী খলাক্বস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বোয়া ফী সিত্তাতি আইয়্যা-মিন্ ছুম্মাস্ তাওয়া -‘আলাল্ ‘আরশ্; ইয়া’লামু মা ইয়ালিজুফিল্ র্আদ্বি অমা-ইয়াখ্রুজুমিন্হা-অমা-ইয়ান্যিলু মিনাস্ সামা-য়ি অমা-ইয়া’রুজু ফীহা-; অহুওয়া মা‘আকুম্ আইনা মা-কুন্তুম্; অল্লা-হু বিমা-তা’মালুনা বার্ছী। বাংলা অনুবাদ ৫৭.৪ তিনিই আসমানসমূহ ও যমীন ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, তারপর তিনি আরশে উঠেছেন। তিনি জানেন যমীনে যা কিছ প্রবেশ করে এবং তা থেকে যা কিছু বের হয়; আর আসমান থেকে যা কিছু অবতীর্ণ হয় এবং তাতে যা কিছু উত্থিত হয়। আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথেই আছেন। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা। لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَإِلَى اللَّهِ تُرْجَعُ الْأُمُورُ57.5 আরবি উচ্চারণ ৫৭.৫। লাহূ মুল্কুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্ব্; অ ইলাল্লা-হি র্তুজ্বাউ’ল্ উর্মূ। বাংলা অনুবাদ ৫৭.৫ আসমানসমূহ ও যমীনের রাজত্ব তাঁরই এবং আল্লাহরই দিকে সকল বিষয় প্রত্যাবর্তিত হবে। يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَهُوَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ57.6 আরবি উচ্চারণ ৫৭.৬। ইয়ূলিজুল্লাইলা ফিন্নাহা-রি অইয়ু লিজুন্ নাহা-রা ফিল্ লাইল্; অহুওয়া ‘আলীমুম্ বিযা-তিছ্ ছুর্দূ। বাংলা অনুবাদ ৫৭.৬ তিনি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। আর তিনি অন্তরসমূহের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক অবগত। آمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَأَنْفِقُوا مِمَّا جَعَلَكُمْ مُسْتَخْلَفِينَ فِيهِ فَالَّذِينَ آمَنُوا مِنْكُمْ وَأَنْفَقُوا لَهُمْ أَجْرٌ كَبِيرٌ 57.7 আরবি উচ্চারণ ৫৭.৭। আ-মিনূ বিল্লা-হি অরাসূলিহী অ আন্ফিকুমিম্মা-জ্বা‘আলাকুম্ মুস্তাখ্লাফীনা ফীহ্; ফাল্লাযীনা আ-মানূ মিন্কুম্ অআন্ফাকু লাহুম্ আজ্ব রুন্ কার্বী। বাংলা অনুবাদ ৫৭.৭ তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আন এবং তিনি তোমাদেরকে যা কিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন, তা থেকে ব্যয় কর। অতঃপর তোমাদেও মধ্যে যারা ঈমান আনে ও (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে তাদের জন্য রয়েছে বিরাট প্রতিফল। وَمَا لَكُمْ لَا تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالرَّسُولُ يَدْعُوكُمْ لِتُؤْمِنُوا بِرَبِّكُمْ وَقَدْ أَخَذَ مِيثَاقَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ57.8 আরবি উচ্চারণ ৫৭.৮। অমা-লাকুম্ লা-তুমিনূনা বিল্লা-হি র্অ রাসূলু ইয়াদ্‘ঊকুম্ লিতুমিনূ বিরব্বিকুম্ অক্বদ্ আখাযা মীছা-ক্বকুম্ ইন্ কুন্তুম্ মুমিনীন্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.৮ আর তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনছ না? অথচ রাসূল তোমাদেরকে তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আনতে আহ্বান করছে। আর তিনি তোমাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন, যদি তোমরা মুমিন হও। هُوَ الَّذِي يُنَزِّلُ عَلَى عَبْدِهِ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ لِيُخْرِجَكُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَإِنَّ اللَّهَ بِكُمْ لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ57.9 আরবি উচ্চারণ ৫৭.৯। হুওয়াল্লাযী ইয়ুনায্যিলু ‘আলা-আব্দিহী য় আ-ইয়া-তিম্ বাইয়িনা-তিল্ লিইয়ুখ্রিজ্বাকুম্ মিনাজ্ জুলুমা-তি ইলান্নরু; অইন্নাল্লা-হা বিকুম্ লারয়ূফুর রহীম্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.৯ তিনিই তাঁর বান্দার প্রতি সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ নাযিল করেন, যাতে তিনি তোমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনতে পারেন। আর নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি অতিশয় দয়ালু, পরম করুণাময়। وَمَا لَكُمْ أَلَّا تُنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا يَسْتَوِي مِنْكُمْ مَنْ أَنْفَقَ مِنْ قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُولَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِنَ الَّذِينَ أَنْفَقُوا مِنْ بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ57.10 আরবি উচ্চারণ ৫৭.১০। অমা-লাকুম্ আল্লা-তুন্ফিক্বুফী সাবীলিল্লা-হি অলিল্লা-হি মীরাছুস্ সামা-ওয়া-তি অল্ র্আদ্বি; লা-ইয়াস্ তাওয়ী মিন্কুম্ মান্ আন্ফাক্বা মিন্ ক্বব্লিল্ ফাত্হি অক্ব- তাল্; উলা-য়িকা আ’জোয়ামু দারাজ্বাতাম্ মিনাল্ লাযীনা আন্ফাক্বু মিম্ বা’দু অক্ব-তালূ; অকুল্লাওঁ অআ’দাল্লা-হুল্ হুস্না-; অল্লা-হু বিমা-তা’মালূনা খর্বী। বাংলা অনুবাদ ৫৭.১০ তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করছ না? অথচ আসমানসমূহ ও যমীনের উত্তরাধিকারতো আল্লাহরই? তোমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পূবের্ ব্যয় করেছে এবং যুদ্ধ করেছে তারা সমান নয়। তারা মর্যাদায় তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, যারা পরে ব্যয় করেছে ও যুদ্ধ করেছে। তবে আল্লাহ প্রত্যেকের জন্যই কল্যাণের ওয়াদা করেছেন। আর তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবগত। مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا فَيُضَاعِفَهُ لَهُ وَلَهُ أَجْرٌ كَرِيمٌ57.11 আরবি উচ্চারণ ৫৭.১১। মান যাল্লাযী ইয়ুক্ব রিদ্বুল্লা-হা র্ক্বদ্বোয়ান্ হাসানান্ ফাইয়ুদ্বোয়া-ই’ফাহূ লাহূ অলাহূ-আজ্ব্রুন্ কারীম্ বাংলা অনুবাদ ৫৭.১১ এমন কে আছে যে, আল্লাহকে উত্তম করয দিবে? তাহলে তিনি তার জন্য তা বহুগুণে বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তার জন্য রয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান। يَوْمَ تَرَى الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ يَسْعَى نُورُهُمْ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِمْ بُشْرَاكُمُ الْيَوْمَ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ 57.12 আরবি উচ্চারণ ৫৭.১২। ইয়াওমা তারাল্ মুমিনীনা অল্মু’মিনা-তি ইয়াস্‘আ- নূরুহুম্ বাইনা আইদীহিম্ অবিআইমা-নিহিম্ বুশ্র-কুমুল্ ইয়াওমা জ্বান্না-তুন্ তাজ্ব রী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হা-রু খ-লিদীনা ফীহা-; যা-লিকা হুওয়াল্ ফাওযুল্ ‘আজীম্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.১২ সেদিন তুমি মুমিন পুরুষদের ও মুমিন নারীদের দেখতে পাবে যে, তাদের সামনে ও তাদের ডান পাশে তাদের নূর ছুটতে থাকবে। (বলা হবে) ‘আজ তোমাদের সুসংবাদ হল জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত, তথায় তোমরা স্থায়ী হবে। এটাই হল মহাসাফল্য। يَوْمَ يَقُولُ الْمُنَافِقُونَ وَالْمُنَافِقَاتُ لِلَّذِينَ آمَنُوا انْظُرُونَا نَقْتَبِسْ مِنْ نُورِكُمْ قِيلَ ارْجِعُوا وَرَاءَكُمْ فَالْتَمِسُوا نُورًا فَضُرِبَ بَيْنَهُمْ بِسُورٍ لَهُ بَابٌ بَاطِنُهُ فِيهِ الرَّحْمَةُ وَظَاهِرُهُ مِنْ قِبَلِهِ الْعَذَابُ57.13 আরবি উচ্চারণ ৫৭.১৩। ইয়াওমা ইয়াকু লুল্ মুনা-ফিক্ব ূনা অল্ মুনা-ফিক্ব-তু লিল্লাযীনা আ-মানুন্ জুরূনা- নাক্ব্ তাবিস্ মিন্ নূরিকুম্ ক্বী র্লাজ্বি‘ঊ অর-য়াকুম্ ফাল্তামিসূ নূরা-; ফাদুরিবা বাইনাহুম্ বিসূরিল্লাহূ বা-ব্; বা-ত্বিনুহূ ফীর্হি রহ্মাতু অজোয়া-হিরুহূ মিন্ ক্বিবালিহিল্ ‘আযা-ব্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.১৩ সেদিন মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারীগণ ঈমানদারদের বলবে, ‘তোমরা আমাদের জন্য অপেক্ষা কর, তোমাদের নূর থেকে আমরা একটু নিয়ে নেই’, বলা হবে, ‘তোমরা তোমাদের পিছনে ফিরে যাও এবং নূরের সন্ধান কর,’ তারপর তাদেও মাঝখানে একটি প্রাচীর স্থাপন করে দেয়া হবে, যাতে একটি দরজা থাকবে। তার ভিতরভাগে থাকবে রহমত এবং তার বহির্ভাগে থাকবে আযাব। يُنَادُونَهُمْ أَلَمْ نَكُنْ مَعَكُمْ قَالُوا بَلَى وَلَكِنَّكُمْ فَتَنْتُمْ أَنْفُسَكُمْ وَتَرَبَّصْتُمْ وَارْتَبْتُمْ وَغَرَّتْكُمُ الْأَمَانِيُّ حَتَّى جَاءَ أَمْرُ اللَّهِ وَغَرَّكُمْ بِاللَّهِ الْغَرُورُ57.14 আরবি উচ্চারণ ৫৭.১৪। ইয়ুনা-দূনাহুম্ আলাম্ নাকুম্ মা‘আকুম্; ক্ব-লূ বালা-অলা- কিন্নাকুম্ ফাতান্তুম্ আন্ফুসাকুম্ অ তারব্বাছ্তুম্ র্অতাব্তুম্ অর্গরত্কুমুল্ আমা-নিয়্যু হাত্তা-জ্বা-য়া আমরুল্লা-হি অর্গরকুম্ বিল্লা-হিল্ গর্রূ। বাংলা অনুবাদ ৫৭.১৪ মুনাফিকরা মুমিনদেরকে ডেকে বলবে, ‘আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না? তারা বলবে ‘হ্যাঁ, কিন্তু ‘ তোমরা নিজেরাই নিজদেরকে বিপদগ্রস্ত করেছ। আর তোমরা অপেক্ষা করেছিলে এবং সন্দেহ পোষণ করেছিলে এবং আকাক্সক্ষা তোমাদেরকে প্রতারিত করেছিল, অবশেষে আল্লাহর নির্দেশ এসে গেল। আর মহা প্রতারক তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারিত করেছিল। فَالْيَوْمَ لَا يُؤْخَذُ مِنْكُمْ فِدْيَةٌ وَلَا مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مَأْوَاكُمُ النَّارُ هِيَ مَوْلَاكُمْ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ57.15 আরবি উচ্চারণ ৫৭.১৫। ফাল্ইয়াওমা লা- ইয়ুখাযু মিন্কুম্ ফিদ্ইয়াতুঁও অলা-মিনাল্লাযীনা কাফারূ; মাওয়া-কুমুন্ নার্-; হিয়া মাওলা-কুম্; অবিসাল্ মার্ছী। বাংলা অনুবাদ ৫৭.১৫ সুতরাং আজ তোমাদের কাছ থেকে কোন মুক্তিপণ গ্রহণ করা হবে না এবং যারা কুফরি করেছিল তাদের কাছ থেকেও না। জাহান্নামই তোমাদের আবাসস্থল। সেটাই তোমাদের উপযুক্ত স্থান। আর কতই না নিকৃষ্ট সেই গন্তব্যস্থল! أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنْ تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللَّهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَقِّ وَلَا يَكُونُوا كَالَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ الْأَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوبُهُمْ وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ فَاسِقُونَ57.16 আরবি উচ্চারণ ৫৭.১৬। আলাম্ ইয়ানি লিল্লাযীনা আ-মানূ য় আন্ তাখ্শা‘আ ক্ব লূবুহুম্ লিযিক্রিল্লা-হি অমা-নাযালা মিনাল্ হাক্ব ক্বি অলা-ইয়াকূনূ কাল্লাযীনা উতুল্ কিতা-বা মিন্ ক্বব্লু ফাত্বোয়া-লা ‘আলাইহিমুল্ আমাদু ফাক্বসাত্ কুলূ বুহুম্; অকাছীরুম্ মিন্হুম্ ফা-সিকু ন্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.১৬ যারা ঈমান এনেছে তাদের হৃদয় কি আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য নাযিল হয়েছে তার কারণে বিগলিত হওয়ার সময় হয়নি ? আর তারা যেন তাদের মত না হয়, যাদেরকে ইতঃপূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল, তারপর তাদের উপর দিয়ে দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হল, অতঃপর তাদের অন্তরসমূহ কঠিন হয়ে গেল। আর তাদের অধিকাংশই ফাসিক। اعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا قَدْ بَيَّنَّا لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ57.17 আরবি উচ্চারণ ৫৭.১৭। ই’লামূ য় আন্নাল্লা-হা ইয়ুহ্য়িল্ র্আদ্বোয়া বা’দা মাওতিহা-; ক্বদ্ বাইইয়ান্না-লাকুমুল্ আ-ইয়া-তি লা‘আল্লাকুম্ তা’ক্বিলূন্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.১৭ তোমরা জেনে রাখ যে, আল্লাহ যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন। আমি নিদর্শনসমূহ তোমাদের কাছে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি, আশা করা যায় তোমরা বুঝতে পারবে। إِنَّ الْمُصَّدِّقِينَ وَالْمُصَّدِّقَاتِ وَأَقْرَضُوا اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا يُضَاعَفُ لَهُمْ وَلَهُمْ أَجْرٌ كَرِيمٌ 57.18 আরবি উচ্চারণ ৫৭.১৮। ইন্নাল্ মুছ্ছোয়াদ্দিক্বীনা অল্মুছ্ছোয়াদ্দিক্ব-তি অআক্ব রদ্বুল্লা-হা র্ক্বদ্বোয়ান্ হাসানাইঁ ইয়ুদ্বোয়া-‘আফু লাহুম্ অলাহুম্ আজ্ব রুন্ কারীম্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.১৮ নিশ্চয় দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী এবং যারা আল্লাহকে উত্তম করয দেয়, তাদের জন্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে এবং তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান। وَالَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ أُولَئِكَ هُمُ الصِّدِّيقُونَ وَالشُّهَدَاءُ عِنْدَ رَبِّهِمْ لَهُمْ أَجْرُهُمْ وَنُورُهُمْ وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ57.19 আরবি উচ্চারণ ৫৭.৯। অল্লাযীনা আ-মানূ বিল্লা-হি অরুসুলিহী য় উলা-য়িকা হুমছ্ ছিদ্দীকুনা অশ্ শুহাদা-য়ু ‘ইন্দা রব্বিহিম্; লাহুম্ আজ্ব রুহুম্ অনূরুহুম্; অল্লাযীনা কাফারূ অকায্যাবূ বিআ-ইয়া-তিনা য় উলা-য়িকা আছ্হা- বুল্ জ্বাহীম্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.১৯ আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের প্রতি ঈমান আনে, তারাই তাদের রবের নিকট সিদ্দীক ও শহীদ। তাদের জন্য রয়েছে তাদের প্রতিফল এবং তাদের নূর। আর যারা কুফরী করে এবং আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তারাই জাহান্নামের অধিবাসী। اعْلَمُوا أَنَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَلَهْوٌ وَزِينَةٌ وَتَفَاخُرٌ بَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ كَمَثَلِ غَيْثٍ أَعْجَبَ الْكُفَّارَ نَبَاتُهُ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَاهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَكُونُ حُطَامًا وَفِي الْآخِرَةِ عَذَابٌ شَدِيدٌ وَمَغْفِرَةٌ مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانٌ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ57.20 আরবি উচ্চারণ ৫৭.২০। ‘ইলামূ য় আন্নামাল্ হা ইয়া-তুদ্দুন্ইয়া- লা‘ইবুঁও অলাহ্য়ুঁও অযীনাতুঁও অতাফা-খুরুম্ বাইনাকুম্ অতাকা-ছুরুন্ ফিল্ আম্ওয়া-লি অল্আওলাদ্; কামাছালি গইছিন্ আ’জ্বাবাল্ কুফ্ফা-রা নাবা-তুহূ ছুম্মা ইয়াহীজু ফাতার-হু মুর্ছ্ফারন্ ছুম্মা ইয়াকূনু হুত্বোয়া-মা-; অফিল্ আ-খিরতি ‘আযা-বুন্ শাদীদুঁও অমাগ্ফিরতুম্ মিনাল্লা-হি অরিদ্বওয়া-ন্; অমাল্ হা ইয়া-তুদ্ দুন্ইয়া য় ইল্লা-মাতা- উ’ল্ গুর্রু। বাংলা অনুবাদ ৫৭.২০ তোমরা জেনে রাখ যে, দুনিয়ার জীবন ক্রীড়া কৌতুক, শোভা-সৌন্দর্য, তোমাদের পারস্পরিক গর্ব- অহঙ্কার এবং ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে আধিক্যের প্রতিযোগিতা মাত্র। এর উপমা হল বৃষ্টির মত, যার উৎপন্ন ফসল কৃষকদেরকে আনন্দ দেয়, তারপর তা শুকিয়ে যায়, তখন তুমি তা হলুদ বর্ণের দেখতে পাও, তারপর তা খড়-কুটায় পরিণত হয়। আর আখিরাতে আছে কঠিন আযাব এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর দুনিয়ার জীবনটা তো ধোকার সামগ্রী ছাড়া আর কিছুই নয়। سَابِقُوا إِلَى مَغْفِرَةٍ مِنْ رَبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا كَعَرْضِ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أُعِدَّتْ لِلَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ57.21 আরবি উচ্চারণ ৫৭.২১। সা-বিকু য় ইলা- মাগ্ফিরতিম্ র্মি রব্বিকুম্ অজ্বান্নাতিন্ ‘র্আদ্বুহা-কা‘র্আদিস্ সামা-য়ি অল্র্আদ্বি উই’দ্দাত্ লিল্লাযীনা আ-মানূ বিল্লা-হি অরুসুলিহ্; যা-লিকা ফাদ্ব্লু ল্লা-হি ইয়ু”তীহি মাইঁ ইয়াশা-য়ু অল্লা-হু যুল্ফাদ্ব্লিল্ ‘আজীম্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.২১ তোমরা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হও, যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার মত। তা প্রস্তত করা হয়েছে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলদের প্রতি ঈমান আনে তাদের জন্য। এটা আল্লাহর অনুগ্ররহ। তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল। مَا أَصَابَ مِنْ مُصِيبَةٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي أَنْفُسِكُمْ إِلَّا فِي كِتَابٍ مِنْ قَبْلِ أَنْ نَبْرَأَهَا إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ57.22 আরবি উচ্চারণ ৫৭.২২। মা য় আছোয়া-বা মিম্ মুছীবাতিন্ ফিল্ র্আদ্বি অলা-ফী য় আন্ফুসিকুম্ ইল্লা-ফী কিতা-বিম্ মিন্ ক্বব্লি আন্ নাব্রয়াহা-; ইন্না যা-লিকা ‘আলাল্লা-হি ইয়াসীর। বাংলা অনুবাদ ৫৭.২২ যমীনে এবং তোমাদের নিজদের মধ্যে এমন কোন মুসীবত আপতিত হয় না, যা আমি সংঘটিত করার পূর্বে কিতাবে লিপিবদ্ধ রাখি না। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ। لِكَيْ لَا تَأْسَوْا عَلَى مَا فَاتَكُمْ وَلَا تَفْرَحُوا بِمَا آتَاكُمْ وَاللَّهُ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ 57.23 আরবি উচ্চারণ ৫৭.২৩। লিকাইলা-তা”সাও ‘আলা-মা-ফা-তাকুম্ অলা-তাফ্রহূ বিমা য় আ-তা-কুম্; অল্লা-হু লা-ইয়ুহিব্বু কুল্লা-মুখ্তা-লিন্ ফাখূরি। বাংলা অনুবাদ ৫৭.২৩ যাতে তোমরা আফসোস না কর তার উপর যা তোমাদের থেকে হারিয়ে গেছে এবং তোমরা উৎফুল না হও তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে। আর আল্লাহ কোন উদ্ধত ও অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না। الَّذِينَ يَبْخَلُونَ وَيَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبُخْلِ وَمَنْ يَتَوَلَّ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ57.24 আরবি উচ্চারণ ৫৭.২৪। নিল্লাযীনা ইয়াব্খালূনা অইয়া”মুরূনান্ না-সা বিল্বুখ্ল; অ মাইঁ ইয়াতাওয়াল্লা ফাইন্নাল্লা-হা হুওয়াল্ গনিয়্যুল্ হামীদ্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.২৪ যারা কপৃ ণতা করে এবং মানুষকে কপৃণতার নির্দেশ দেয়, আর যে মখু ফিরিয়ে নেয়, তাহলে আল্লাহ নিশ্চয় অভাবমুক্ত, সপ্রশংসিত। لَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَأَنْزَلْنَا مَعَهُمُ الْكِتَابَ وَالْمِيزَانَ لِيَقُومَ النَّاسُ بِالْقِسْطِ وَأَنْزَلْنَا الْحَدِيدَ فِيهِ بَأْسٌ شَدِيدٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ مَنْ يَنْصُرُهُ وَرُسُلَهُ بِالْغَيْبِ إِنَّ اللَّهَ قَوِيٌّ عَزِيزٌ57.25 আরবি উচ্চারণ ৫৭.২৫। লাক্বদ্ র্আসাল্না রুসুলানা- বিল্বাইয়্যিনা-তি অআন্যাল্না- মাআ’হুমুল্ কিতা-বা অল্মীযা-না লিইয়াকুমা ন্না-সু বিল্ ক্বিস্ত্বি অ আন্যাল্নাল্ হাদীদা ফীহি বা”সুন্ শাদীদুঁও অমানা-ফি‘উ লিন্না-সি অলিইয়া’লামা ল্লা-হু মাইঁ ইয়ান্ ছুরুহূ অরুসুলাহূ বিল্গইব্; ইন্নাল্লা-হা ক্বাওওয়িয়ুন্ ‘আযীয্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.২৫ নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদণ্ড নাযিল করেছি, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। আমি আরো নাযিল করেছি লোহা, তাতে প্রচণ্ড শক্তি ও মানুষের জন্য বহু কল্যাণ রয়েছে। আর যাতে আল্লাহ জেনে নিতে পারেন, কে না দেখেও তাঁকে ও তাঁর রাসূলদেরকে সাহায্য করে। অবশ্যই আল্লাহ মহাশক্তিধর, মহাপরাক্রমশালী। وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا وَإِبْرَاهِيمَ وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِمَا النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ فَمِنْهُمْ مُهْتَدٍ وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ فَاسِقُونَ 57.26 আরবি উচ্চারণ ৫৭.২৬। অলাক্বদ্ র্আসাল্না-নূহাঁও অইব্রা-হীমা অজ্বা ‘আল্না-ফী র্যুরিয়্যাতিহিমান্ নুবুওয়্যাতা অল্ কিতা-বা ফামিন্হুম্ মুহ্তাদিন্ অকাছীরুম্ মিন্হুম্ ফা-সিকুন্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.২৬ আর আমি তো নূহ ও ইবরাহীমকে রাসূলরূপে পাঠিয়েছিলাম এবং তাদের বংশধরদের মধ্যে নবুওয়াত ও কিতাব দিয়েছিলাম। তারপর তাদের মধ্যে কেউ কেউ সঠিক পথ অবলম্বনকারী ছিল, আর তাদের অধিকাংশই ছিল ফাসিক। ثُمَّ قَفَّيْنَا عَلَى آثَارِهِمْ بِرُسُلِنَا وَقَفَّيْنَا بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ وَآتَيْنَاهُ الْإِنْجِيلَ وَجَعَلْنَا فِي قُلُوبِ الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ رَأْفَةً وَرَحْمَةً وَرَهْبَانِيَّةً ابْتَدَعُوهَا مَا كَتَبْنَاهَا عَلَيْهِمْ إِلَّا ابْتِغَاءَ رِضْوَانِ اللَّهِ فَمَا رَعَوْهَا حَقَّ رِعَايَتِهَا فَآتَيْنَا الَّذِينَ آمَنُوا مِنْهُمْ أَجْرَهُمْ وَكَثِيرٌ مِنْهُمْ فَاسِقُونَ57.27 আরবি উচ্চারণ ৫৭.২৭। ছুম্মা ক্বাফ্ফাইনা ‘আলা য় আ-ছা-রিহিম্ বিরুসুলিনা-অক্বাফ্ফাইনা-বিঈ’সাব্নি র্মাইয়ামা অআ-তাইনা-হুল্ ইন্জ্বীল অ জ্বা‘আল্না-ফী কুলূ বিল্লাযীনা ত্তাবা‘উহু রা”ফাতাঁও অরহ্মাহ্;অরহ্বা নিয়্যাতানিব্ তাদা‘ঊ হা- মা- কাতাব্না-হা-‘আলাইহিম্ ইল্লাব্ তিগা-য়া রিদ্বওয়া-নিল্লা-হি ফামা-র‘আওহা-হাক্ব ক্বা রি‘আ-ইয়াতিহা-ফা‘আ-তাইনাল্ লাযীনা আ-মানূ মিন্হুম্ আজ্ব রহুম্ অকাছীরুম্ মিন্হুম্ ফা-সিকুন্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.২৭ তারপর তাদের পিছনে আমি আমার রাসূলদেরকে অনুগামী করেছিলাম এবং মারইয়াম পুত্র ঈসাকেও অনুগামী করেছিলাম। আর তাকে ইনজীল কিতাব দিয়েছিলাম এবং যারা তার অনুসরণ করেছিল তাদের অন্তরসমূহে করুণা ও দয়ামায়া দিয়েছিলাম। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় তারাই বৈরাগ্যবাদের প্রবর্তন করেছিল। এটা আমি তাদের ওপর লিপিবদ্ধ করে দেইনি। তারপর তাও তারা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করেনি। আর তাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে আমি তাদের প্রতিদান দিয়েছিলাম এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল ফাসিক। يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَآمِنُوا بِرَسُولِهِ يُؤْتِكُمْ كِفْلَيْنِ مِنْ رَحْمَتِهِ وَيَجْعَلْ لَكُمْ نُورًا تَمْشُونَ بِهِ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ57.28 আরবি উচ্চারণ ৫৭.২৮। ইয়া য় আইয়্যুহাল্ লাযীনা আ-মানুত্ তাকুল্লা-হা অআ-মিনূ বিরসূলিহী ইয়ু”তিকুম্ কিফ্লাইনি র্মি রহমাতিহী অইয়াজ্ব ‘আল্ লাকুম্ নূরান্ তাম্শূনা বিহী অইয়ার্গ্ফিলাকুম্; অল্লা-হু গাফূর্রু রহীমুল্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.২৮ হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আন, তিনি স্বীয় রহমতে তোমাদেরকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন, আর তোমাদেরকে নূর দেবেন যার সাহায্যে তোমরা চলতে পারবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু لِئَلَّا يَعْلَمَ أَهْلُ الْكِتَابِ أَلَّا يَقْدِرُونَ عَلَى شَيْءٍ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ وَأَنَّ الْفَضْلَ بِيَدِ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ 57.29 আরবি উচ্চারণ ৫৭.২৯। লিয়াল্লা-ইয়া’লামা আহ্লুল্ কিতা-বি আল্লা-ইয়াক্ব দিরূনা ‘আলা-শাইয়িম্ মিন্ ফাদ্ব্লিল্লা-হি অআন্নাল্ ফাদ্ব লা বিয়াদি ল্লা-হি ইয়ু”তীহি মাইঁ ইয়াশা-য়ূ; অল্লা -হু যুল্ ফাদ্ব্লিল্ ‘আজীম্। বাংলা অনুবাদ ৫৭.২৯ (তা এজন্য যে,) আহলে কিতাবগণ যেন জেনে নিতে পারে, আল্লাহর অনুগ্রহের কোন বস্তুতেই তারা ক্ষমতা রাখে না। আর নিশ্চয় অনুগ্রহ আল্লাহর হাতেই, যাকে ইচ্ছা তিনি তা দেন। আর আল্লাহ মহাঅনুগ্রহের অধিকারী।
One comment
Pingback: আল্লাহর পথে দাওয়াত ISLAMIC RESEARCH CENTER ONLINE