Friday , November 22 2024

সুরা আন নাযিয়াত

সুরা আন নাযিয়াত

শ্রেণীঃ মাক্কী সূরা
নামের অর্থঃ প্রচেষ্টাকারী

সূরার ক্রমঃ ৭৯
আয়াতের সংখ্যাঃ ৪৬
পারার ক্রমঃ ৩০
রুকুর সংখ্যাঃ ২
সিজদাহ্‌র সংখ্যাঃ নেই
শব্দের সংখ্যাঃ ১৭৯
অক্ষরের সংখ্যাঃ ৭৬২

← পূর্ববর্তী সূরা সূরা আন-নাবা
পরবর্তী সূরা → সূরা আবাসা

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহিম


Previous | Surah Naziaat | next

وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا (١)
1. অন্না-যি ‘আতি গারক্বঁও।
শপথ সেই ফেরেশতাগণের, যারা ডুব দিয়ে আত্মা উৎপাটন করে,


وَالنَّاشِطَاتِ نَشْطًا (٢)
2. অন্না-শিত্বোয়া-তি নাশত্বোয়াঁও।
শপথ তাদের, যারা আত্মার বাঁধন খুলে দেয় মৃদুভাবে;


وَالسَّابِحَاتِ سَبْحًا (٣)
3. অসসা-বিহা-তি সাবহান।
শপথ তাদের, যারা সন্তরণ করে দ্রুতগতিতে,


فَالسَّابِقَاتِ سَبْقًا (٤)
4. ফাসসা-বিক্ব-তি সাবক্বান।
শপথ তাদের, যারা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয় এবং


فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا (٥)
5. ফালমুদাব্বির-তি আমর-।
শপথ তাদের, যারা সকল কর্মনির্বাহ করে, কেয়ামত অবশ্যই হবে।


يَوْمَ تَرْجُفُ الرَّاجِفَةُ (٦)
6. ইয়াওমা তারজ্বু ফুর র-জ্বিফাতু।
যেদিন প্রকম্পিত করবে প্রকম্পিতকারী,


تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ (٧)
7. তাত্‌বা ‘ঊহার র-দিফাতু;
অতঃপর পশ্চাতে আসবে পশ্চাদগামী;


قُلُوبٌ يَوْمَئِذٍ وَاجِفَةٌ (٨)
8. ক্বূ লূবুঁই ইয়াও মায়িযিঁও ওয়া- জ্বিফাতুন।
সেদিন অনেক হৃদয় ভীত-বিহবল হবে।


أَبْصَارُهَا خَاشِعَةٌ (٩)
9. আব্‌ছোয়া-রুহা-খ-শি ‘আহ।
তাদের দৃষ্টি নত হবে।


يَقُولُونَ أَئِنَّا لَمَرْدُودُونَ فِي الْحَافِرَةِ (١٠)
10. ইয়াক্বূ লূনা আইন্না- লামারদূদূনা ফিল হা-ফিরহ্‌।
তারা বলেঃ আমরা কি উলটো পায়ে প্রত্যাবর্তিত হবই-


أَئِذَا كُنَّا عِظَامًا نَخِرَةً (١١)
11. আইযা-কুন্না-ই’জোয়া-মান নাখিরহ।
গলিত অস্থি হয়ে যাওয়ার পরও?


قَالُوا تِلْكَ إِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌ (١٢)
12. ক্ব-লূ তিলকা ইযান কাররতুন খ-সিরহ।
তবে তো এ প্রত্যাবর্তন সর্বনাশা হবে!


فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ (١٣)
13. ফাইন্নামা- হিয়া যাজ্ব রতুঁও ওয়া-হিদাতুন।
অতএব, এটা তো কেবল বিকট আওয়াজ।


فَإِذَا هُمْ بِالسَّاهِرَةِ (١٤)
14. ফা ইযা-হুম বিসসা-হিরহ।
তখনই তারা ময়দানে আবির্ভূত হবে।


هَلْ أتَاكَ حَدِيثُ مُوسَى (١٥)
15. হাল আতা-কা হাদীছু মূসা-
মূসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌছেছে কি?


إِذْ نَادَاهُ رَبُّهُ بِالْوَادِي الْمُقَدَّسِ طُوًى (١٦)
16. ইয না-দা-হু রব্বুহু বিলওয়া-দিল মুক্বা্দ্দাসি ত্বু ওয়া-
যখন তার পালনকর্তা তাকে পবিত্র তুয়া উপ্যকায় আহবান করেছিলেন,


اذْهَبْ إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى (١٧)
17. ইযহাব ইলা- ফির ‘আঊনা ইন্নাহূ ত্বগা-।
ফেরাউনের কাছে যাও, নিশ্চয় সে সীমালংঘন করেছে।


فَقُلْ هَلْ لَكَ إِلَى أَنْ تَزَكَّى (١٨)
18. ফাক্বুল হাল লাকা ইলা– আন তাযাক্কা-।
অতঃপর বলঃ তোমার পবিত্র হওয়ার আগ্রহ আছে কি?


وَأَهْدِيَكَ إِلَى رَبِّكَ فَتَخْشَى (١٩)
19. অআহদিয়াকা ইলা-রব্বিকা ফাতাখশা-।
আমি তোমাকে তোমার পালনকর্তার দিকে পথ দেখাব, যাতে তুমি তাকে ভয় কর।


فَأَرَاهُ الآيَةَ الْكُبْرَى (٢٠)
20. ফাআর-হুল আ-ইয়াতাল কুবর-।
অতঃপর সে তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল।


فَكَذَّبَ وَعَصَى (٢١)
21. ফাকায্‌যাবা অ’আছোয়া-।
কিন্তু সে মিথ্যারোপ করল এবং অমান্য করল।


ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَى (٢٢)
22. ছুম্মা আদবার ইয়াস’আ-।
অতঃপর সে প্রতিকার চেষ্টায় প্রস্থান করল।


فَحَشَرَ فَنَادَى (٢٣)
23. ফাহাশার ফানা-দা-।
সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহবান করল,


فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الأعْلَى (٢٤)
24. ফাক্ব-লা আনা রব্বুকুমুল আ’লা-।
এবং বললঃ আমিই তোমাদের সেরা পালনকর্তা।


فَأَخَذَهُ اللَّهُ نَكَالَ الآخِرَةِ وَالأولَى (٢٥)
25. ফাআখাযাহুল্লা-হু নাকা-লাল আ-খিরতি অল ঊলা-।
অতঃপর আল্লাহ তাকে পরকালের ও ইহকালের শাস্তি দিলেন।


إِنَّ فِي ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِمَنْ يَخْشَى (٢٦)
26. ইন্না ফী যা-লিকা লা- ইবরতাল লিমাইঁ ইয়াখশা-।
যে ভয় করে তার জন্যে অবশ্যই এতে শিক্ষা রয়েছে।


أَأَنْتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاءُ بَنَاهَا (٢٧)
27. আআনতুম আশাদ্দু খলক্বন আমিস সামা–য়; বানা-হা-।
তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন?


رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّاهَا (٢٨)
28. রফা’আ সামকাহা-ফাসাওয়্যা-হা-।
তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।


وَأَغْطَشَ لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَاهَا (٢٩)
29. অআগত্বোয়াশা লাইলাহা-অআখরজ্বা দ্বু হা-হা-।
তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন।


وَالأرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا (٣٠)
30. অল আরদ্বোয়া বা’দা যা-লিকা দাহা-হা।
পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।


أَخْرَجَ مِنْهَا مَاءَهَا وَمَرْعَاهَا (٣١)
31. আখরজা মিনহা মা–য়াহা আমর’আ-হা-।
তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি ও ঘাম নির্গত করেছেন,

وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا (٣٢)
32. অলজ্বিবা-লা আরসা-হা-।
পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন,

مَتَاعًا لَكُمْ وَلأنْعَامِكُمْ (٣٣)
33. মাতা’আল্লাকুম অলিআন’আ-মিকুম।
তোমাদের ও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপকারার্থে।

فَإِذَا جَاءَتِ الطَّامَّةُ الْكُبْرَى (٣٤)
34. ফাইযা-জ্বা–য়াতিত ত্বোয়া–ম্মাতুল কুবর-।
অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে।

يَوْمَ يَتَذَكَّرُ الإنْسَانُ مَا سَعَى (٣٥)
35. ইয়াওমা ইয়াতাযাক্কারুল ইনসা-নু মা-সা’আ-।
অর্থাৎ যেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম স্মরণ করবে

وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِمَنْ يَرَى (٣٦)
36. অবুররিযাতিল জ্বাহীমু লিমাইঁ ইয়ার-।
এবং দর্শকদের জন্যে জাহান্নাম প্রকাশ করা হবে,


فَأَمَّا مَنْ طَغَى (٣٧)
37. ফাআম্মা-মান ত্বোয়াগ-।
তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছে;

وَآثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا (٣٨)
38. অআ-ছারল হা-ইয়া-তাদ দুনইয়া-।
এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে,

(٣٩)
39. ফাইন্নাল জ্বাহীমা হিয়াল মা” ওয়া-।
তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।

(٤٠)
40. অআম্মা-মান খ-ফা মাক্ব-মা রব্বিহী অনাহান নাফসা ‘আনিল হাওয়া-।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশী থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে,

(٤١)
41. ফাইন্নাল জ্বান্নাতা হিয়াল মা”ওয়া-।
তার ঠিকানা হবে জান্নাত।

(٤٢)
42. ইয়াসয়ালূনাকা ‘আনিস সা- ‘আতি আইয়্যা-না মুরসা-হা-;
তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কেয়ামত কখন হবে?


(٤٣)
43. ফীমা আনতা মিন ডিকর-হা-।
এর বর্ণনার সাথে আপনার কি সম্পর্ক ?

(٤٤)
44. ইলা-রব্বিকা মুনতাহা-হা-।
এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে।

(٤٥)
45. ইন্নামা– আনতা মুনযিরু মাইঁ ইয়াখশা-হা-।
যে একে ভয় করে, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন।

(٤٦)
46. কায়ান্নাহুম ইয়াওমা ইয়ারওনাহা-লাম ইয়ালবাছূ– ইল্লা ‘আশিইয়াতান আও দ্বু হা-হা-।
যেদিন তারা একে দেখবে, সেদিন মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক সকাল অবস্থান করেছে।

About Abdul Latif Sheikh

Check Also

idf image

সুরা আল ইমরান আয়াত ১০২-১০৫ এর তাফসির

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوۡتُنَّ اِلَّا وَ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ  وَ …

সুরা ইখলাস এর ফযিলত

সুরা আন আনফাল

সুরা আন আনফাল নামের অর্থঃ যুদ্ধ লব্ধ সম্পদ শ্রেনীঃ মাদানী সুরা ক্রমঃ ৮ আয়াত সংখ্যাঃ …

সুরা ইখলাস এর ফযিলত

সূরা আত-তাওবাহ্‌

সূরা আত-তাওবাহ্‌ শ্রেণীঃ মাদানীনামের অর্থঃ অনুশোচনাঅন্য নামঃ আল-বারাহ্ (শাস্তি থেকে অব্যাহতি) সূরার ক্রমঃ ৯আয়াতের সংখ্যাঃ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *