জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ছালাত বইটি
আমলের মাধ্যমে ব্যক্তি পরিচয় ফুটে উঠে ও আল্লাহ্ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। সৎ আমল করা একজন মুসলিম ব্যক্তির প্রধান দায়িত্ব। আর সেজন্যই তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ আমলের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের প্রয়োজন মনে করে না। যে আমল সমাজে চালু আছে সেটাই করে থাকে। এমনকি আল্লাহর নৈকট্য লাভের সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম সালাতের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অথচ সমাজে প্রচলিত সালাতের হুকুম-আহকাম অধিকাংশই ত্রুটিপূর্ণ। ওযু, তায়াম্মুম, সালাতের ওয়াক্ত, আযান, ইকামত, ফরজ, নফল, বিতর, তাহাজ্জুদ, তারাবীহ, জুমা, জানাযা ও ঈদের সালাত সবই বিদআত মিশ্রিত এবং যঈফ ও জাল হাদিসে আক্রান্ত। ফলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সালাতের সাথে আমাদের সালাতের কোন মিল নেই। বিশেষ করে জাল ও যঈফ হাদীছের করালগ্রাসে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত সমাজ থেকে প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। ফলে সমাজ জীবনে প্রচলিত ছালাতের কোন প্রভাব নেই । নিয়মিত মুছল্লী হওয়া সত্ত্বেও অনেকে নানা অবৈধ কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির সাথে জড়িত।
সমাজে মসজিদ ও মুসল্লিদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও দুর্নীতি, সন্ত্রাস, সুদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, যুলুম-নির্যাতন, রাহাজানি কমছে না। অথচ আল্লাহ তাআলার দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা হল, ‘নিশ্চয়ই সালাত অন্যায় ও অশ্লীল কর্ম থেকে বিরত রাখে’ (সূরা আনকাবূত ৪৫)। অতএব মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে যাবতীয় অন্যায়-অপকর্ম বন্ধ হবে, নিঃসন্দেহে কমে যাবে এটাই আল্লাহর দাবি । কিন্তু সমাজে প্রচলিত সালাতের কোন কার্যকারিতা নেই কেন?
আসুন নিচের বইটি পড়ে আমরা আমাদের সালাতকে রসুল সঃ এর সালাতের মত করার চেষ্টা করি। আপনার সালাত ঠিক হয়ে গেলে আশা করি আমার থেকে সকল অন্যায় কাজ দূরে চলে যাবে।
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ছালাত বইটি