কংকর নিক্ষেপের শর্ত কয়টি ও কি কি?
শর্তগুলো নিম্নরূপঃ
(১) জামারার খুঁটিকে লক্ষ্য করে কংকর ছুঁড়ে মারতে হবে। অন্যদিকে টার্গেট করে মারলে খুঁটিতে লাগলেও শুদ্ধ হবে না।
(২) ঢিলটি জোরে নিক্ষেপ করতে হবে। সাধারণভাবে কংকরটি সেখানে শুধু ছুয়ায়ে দিলে হবে না।
(৩) কংকরটি পাথর হতে হবে। মাটি বা ইটের টুকরা দিয়ে হবে না।
(৪) কংকরটি হাত দিয়ে নিক্ষেপ করতে হবে। ছেলে-মেয়েদের খেলনা, গুলাল, তীর বা পা দিয়ে লাথি মেরে নিক্ষেপ করলে হবে না।
(৫) সাতটি পাথর হাতের মুঠোয় ভরে একেবারে নয় বরং একটি একটি কংকর হাতে নিয়ে নিক্ষেপ করতে হবে।
(৬) ব্যবহৃত কংকর পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না।
(৭) ওয়াক্ত হলে কংকর নিক্ষেপ করা। এর আগে পরে নয়।
?? কংকর নিক্ষেপের সুন্নাত তরীকাগুলো কি কি?
এগুলো নিম্নরূপঃ
(১) মিনায় প্রবেশ করে কংকর নিক্ষেপের আগে অন্য কিছু না করা।
(২) কংকর নিক্ষেপ শুরু করার পূর্বে তালবিয়াহ পাঠ বন্ধ করে দেয়া।
(৩) প্রতিটি কংকর নিক্ষেপের সময় ‘‘আল্লাহু আকবার’’ বলা। ডান হাতে নিক্ষেপ করা। পুরুষের হাত উঁচু করে নিক্ষেপ করা। মেয়েরা হাত উঁচু করবে না।
(৪) কংকরের সাইজ হবে গুলালের গুলির কাছাকাছি বা চানা বুটের দানার চেয়ে একটু বড়।
(৫) প্রথমদিন সূর্যোদয়ের পরে মারা সুন্নাত।
(৬) দাঁড়ানোর সুন্নত হলো মক্কাকে বামপাশে এবং মিনাকে ডানে রেখে ‘জামারার’ দিকে মুখ করে দাঁড়াবে। এরপর নিক্ষেপ করবে। প্রচন্ড ভীড় হলে যে কোন দিকে দাঁড়িয়েও মারতে পারেন।
(৭) একটা কংকর মারার পর আরেকটি মারা। অর্থাৎ দুই কংকরের মধ্যে বেশী সময় না নেয়া।
(৮) কংকরগুলো পবিত্র হওয়া মুস্তাহাব। অপবিত্র হলেও তা দিয়ে নিক্ষেপ করা যাবে। তবে মাকরূহ হবে।
2 comments
Pingback: ইসলামি আন্দোলন সাফল্যের শর্তাবলী বইয়ের নোট · ISLAMIC DAWAH FOUNDATION
Pingback: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ISLAMIC RESEARCH CENTER ONLINE